ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: সিমবক্স প্রযুক্তিতে প্রতারণাকাণ্ডে নতুন তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিদেশে বিভিন্ন সংস্থার সার্ভার ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল কলকে জিএসএম কলে পরিণত করে চলছিল কোটি কোটি টাকার প্রতারণার কারবার। এই বিপুল অর্থ নাশকতার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল রাতে সিম বক্স প্রযুক্তিতে প্রতারণাকাণ্ডে ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার একটা বাড়িতে তল্লাশি চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
উদ্ধার হয় ৩টি সিম বক্স, মোডেম ও রাউটার। দিন দুয়েক আগে রাজ্যজুড়ে ৭টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর সিমবক্স ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
গত পরশু সাইবার প্রতারণার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে এক বাংলাদেশি সহ গ্রেফতার ৩ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যের ৭ জায়গায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে সিমবক্স, রাউটার, ওয়াইফাই মোডেম, প্রচুর সিমকার্ড সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ থেকে ৩টি সিম বক্স ও প্রায় ২০০টি সিমকার্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, তালতলা থানা এলাকার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ঘর ভাড়া নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল অভিযুক্তরা। এক বাংলাদেশি মাস্টারমাইন্ড সহ গ্রেফতার হয় ৩ জনকে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালায় এসটিএফ। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ অভিযুক্তকে। অন্য জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। উদ্ধার হয় কমিউনিকেশনের প্রচুর যন্ত্রপাতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় বসে নদিয়ার বেথুয়াডহরি, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের ৭ জায়গায় চক্রের জাল ছড়িয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই ৭ জায়গাতেই অভিযান চালিয়েছে এসটিএফ।
তদন্তকারীদের দাবি, সিমবক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে চালানো হত প্রতারণা। কীভাবে চলত সেই প্রতারণা? সিমবক্স প্রযুক্তিই বা কী?
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিমবক্স প্রযুক্তিতে একসঙ্গে একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়। সিমবক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস কলকে জিএসএম কলে রূপান্তরিত করে চালানো হত কারবার। যাতে পুলিশ কল ট্রেস করতে না পারে।
এসচিএফের অভিযানে ২৩টি সিমবক্স, ২৫৬টি সিম স্লট, ১৭টি রাউটার, ৪০০ প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিমকার্ড, ওয়াইফাই মোডেম, ল্যাপটপ, ডেটা কেবল সহ প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।