অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : প্রায় দু’বছর ধরে চলছে করোনার দাপট! এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। করোনা পূর্ববর্তী পরপর কয়েকটি বছরে ডেঙ্গির সংক্রমণে নাজেহাল হয়েছিল বাংলা। বুধবার পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবকের। অভিরূপ সাহা নামে ওই যুবকের বাড়ি জেমস লং সরণিতে। পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি বরানগরে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক। এরপরই তাঁর জ্বর আসে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট সেরকম না থাকলেও, ৭ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতার মধ্য সবচেয়ে বেশি। ৪, ৫, ৬, ৭ নম্বর বরোতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই বরোগুলিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জন।
গত কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে জমা জলে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মশা লার্ভা যাতে না জন্মায় সেদিকেও দেওয়া হচ্ছে নজর। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়, মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়ানো হবে। এজন্য ভ্যাকসিনেশনে কাজ করছেন যে কর্মীরা, তাঁদের একাংশকে এই কাজে নিয়োগ করা হবে।
পাশাপাশি, নজর রাখা হচ্ছে ফুটপাথবাসী থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপরে। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, ' বিভিন্ন জা.গা থেকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ও নজরদারি বাড়ানো য়েছে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে। করোনা পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট যাতে না-বাড়ে সেটাই লক্ষ্য পুরসভার।
বুধবার পিয়ারলেস হাসপাতালের মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবকের। মৃতের নাম অভিরূপ সাহা। বাড়ি জেমস লং সরণিতে। পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি বরানগরে মামারবাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক। এরপরই জ্বর আসে। গত সোমবার, পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবককে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের প্লেটলেট ৮-৯ হাজারে নেমে আসে। চিকিৎসকদের দাবি, চেষ্টা সত্ত্বেও, যুবককে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসক অজয় সরকার জানান, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। তাতেই মারা যায়। কোভিড ভেবে সবাই দেরি করছে। রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।'