সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আজ কৃষ্ণানবমী (Krishna Navami)। নিয়ম মেনে মধ্য কলকাতার (Kolkata) শীল লেনের দাস বাড়িতে অকাল বোধন। এখানে আজ থেকেই শুরু হল দুর্গাপুজো (Durga Puja)। কৃষ্ণানবমী উপলক্ষ্যে দাস বাড়িতে চরম ব্যস্ততা।
সকাল সকাল মাতৃ আরাধনা। তারপর চণ্ডীপাঠ, মঙ্গলারতি, ভোগের আয়োজন। শীল লেনের দাস বাড়িতে তাই আজ থেকেই উৎসবের মেজাজ। এই বাড়িতে দুর্গাপুজোর ৭ ধরনের কল্পারম্ভ হয়। মহানবমীর ঠিক ১৫ দিন আগে কৃষ্ণানবমী তিথিতে কল্পারম্ভের মাধ্যমেই হয় দেবীর অকাল বোধন। পুজো চলবে ষষ্ঠী পর্যন্ত। মহাসপ্তমীতে শুরু মহাপুজো।
অন্যদিকে, কৃষ্ণানবমীতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবাড়িতে মাতৃ আরাধনা। মূর্ছা পাহাড়ে কামানের ৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে ১ হাজার ২৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুজোর আগমনী বার্তা। কথিত আছে, ৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মল্লরাজ জগৎ মল্ল শিকার করতে বেরিয়ে জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেন। সেখানেই বটগাছের তলায় বসে মেলে দৈববাণী।
জঙ্গল কেটে মৃণ্ময়ীর মন্দির বানানোর পাশাপাশি, রাজধানী বিষ্ণুপুরে সরিয়ে আনেন রাজা জগৎ মল্ল। রীতি মেনে কৃষ্ণানবমীতে মন্দিরে আনা হয় বড় ঠাকরুন মহাকালীকে। দেবীপক্ষের চতুর্থী তিথিতে মন্দিরে আসবেন মেজ ঠাকরুন মহালক্ষ্মী। সপ্তমীর দিন আনা হবে ছোট ঠাকরুন মহা সরস্বতীকে। এই তিন ঠাকরুন আসলে স্থানীয় ফৌজদার পরিবারের হাতে আঁকা তিনটি বিশেষ পট। মল্ল রাজ পরিবারের পুজো পরিণত হয়েছে আম জনতার পুজোয়।
আরও পড়ুন, কোন মণ্ডপে কতটা জনজোয়ার, দাঁড়াতে হবে কতক্ষণ! কলকাতা পুলিশের নতুন উদ্যোগ 'ভিড়োমিটার'
অন্যদিকে, কৃষ্ণানবমীতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবাড়িতে মাতৃ আরাধনা। মূর্ছা পাহাড়ে কামানের ৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে ১ হাজার ২৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুজোর আগমনী বার্তা। রীতি মেনে কৃষ্ণানবমীতে মন্দিরে আনা হয় বড় ঠাকরুন মহাকালীকে। দেবীপক্ষের চতুর্থী তিথিতে মন্দিরে আসবেন মেজ ঠাকরুন মহালক্ষ্মী। সপ্তমীর দিন আনা হবে ছোট ঠাকরুন মহা সরস্বতীকে। এই তিন ঠাকরুন আসলে স্থানীয় ফৌজদার পরিবারের হাতে আঁকা তিনটি বিশেষ পট। মল্ল রাজ পরিবারের পুজো পরিণত হয়েছে আম জনতার পুজোয়।