সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : মিগজাউম ( Migchaung ) সরাসরি বাংলায় আছড়ে না পড়লেও, তার জেরে ২ দিন ধরে লাগাতার ভিজেছে বাংলা। শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। এবার মিগজাউমের প্রভাব পড়তে চলেছে মধ্যবিত্তের পকেটে। বেড়ে গেল অত্যন্ত প্রয়োজনায় খাবারের দাম। লাফ দিয়ে বাড়ল ডিমের দাম।
কলকাতায় ফের ঊর্ধ্বমুখী হল ডিমের দাম ( Egg Price ) । কলকাতায় এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজ্যের মূলত ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা থেকে। আর ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়েছে এই দুই রাজ্যেই। প্রবল শক্তি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল মিগজাউম। আর তার প্রভাব পড়েছে সে-রাজ্যের আমদানি রফতানিতেও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল না থাকায় কমেছে জোগান। তার ফলে বেড়েছে ডিমের দাম। আর এতে পকেটে টান পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
অন্যদিকে অসময়ে টানা বৃষ্টির জেরে দাম বাড়ল আলুরও। পাইকারি বাজারে বস্তা পিছু আলুর দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টানা বৃষ্টির ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন আলু চাষিরা। তাঁদের দাবি, যে জমিগুলোতে আলু বসানো হয়ে গেছে, সেই জমির আলু বীজ সমস্তটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর যে জমিতে আলু এখনও বসানো হয়নি, সেখানে চাষ এক সপ্তাহেরও বেশি পিছিয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গুরের রতনপুরে পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলু বস্তা পিছু বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা করে। চন্দ্রমুখী বিকোচ্ছে বস্তা পিছু ১০৫০ টাকায়। চাষিদের অনেকেই ঋণ নিয়ে আলু চাষ শুরু করেছিলেন।কিন্তু, বৃষ্টিতে জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
কিছুদিন আগেই মিগজাউমের পরে অসময়ের বৃষ্টি চলে বাংলার জেলায় জেলায়। এরফলে ফসলের ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেন চাষিরা। নিম্নচাপের জেরে হঠাৎ বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে যায় জমির ধান। জমিতে জল ঢোকায় আলুর বীজও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়। ফলে মাথায় হাত পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষিদের। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় জমির পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। কোথাও ধান কাটা হলেও তুলে নিয়ে যেতে পারেননি কৃষকরা। বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতি হয় চাষিদের।
আজ থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, শনিবার থেকেই জাঁকিয়ে শীত দক্ষিণে?