পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ফের কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটল (Kolkata Electrocution Death)। জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। একবালপুরের ঘটনা। আহত জামাইকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে (Kolkata News)। SSKM-এ নিয়ে গেলে মা ও মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া মেলেনি CESC-র।


SSKM-এ নিয়ে গেলে মা ও মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা


পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ জিআই তারে ভেজা জামাকাপড় মেলতে যান ইজহার আখতার। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
হন শাশুড়ি এবং ইজহারের স্ত্রী। SSKM-এ নিয়ে গেলে মা ও মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। CESC-র প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় বিদ্যুতের তারগুলি একেবারে জট পাকিয়ে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারিদিকে। বিদ্যুৎ চুরিও হয় দেদার। অথচ দেখভাল করার কেউ নেই। সাত সকালে এলাকার দুই বাসিন্দার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলে। কেউ পরিস্থিতি দেখভালের প্রয়োজন দেখায় না বলে অভিযোগ তাঁদের।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: সাসপেন্ড হয়েছেন পার্থ, CPM কাকে মাথায় তুলে রেখেছে, কাকে বড় পদ দিয়েছে BJP, প্রশ্ন অভিষেকের


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের তারের পাশেই জামা-কাপড় মেলার তার ছিল। কাপড় মেলতে গিয়ে তা বিদ্যুতের তারে ধরে যায়। তাতেই ঘটে যায় মারাত্ম বিপদ। প্রথমে ওই যুবক তড়িদাহত হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান শাশুড়ি এবং স্বামী। 


এলাকার এক বসিন্দা বলেন, "গরমে তার গলে যায়। রোজই জামাকাপড় মেলা হয়। আজ বিপদ হয়ে গিয়েছে। শর্ট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন জামাই। উনি তো বেঁচে গেলেন। কিন্তু বাঁচাতে গিয়ে চলে গেলেন দুই জন মানুষ।" বিগত দুই মাস ধরে এলাকায় ফ্লাড লাইট জ্বলছে না বলে জানান তাঁর। অভিযোগ জানাতে গেলে, নিজেদের দায়িত্ব নিতে বলা হয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। 


ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ, ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলা হয় গার্ডরেল দিয়ে


শুধু তাই নয়, এলাকায় দেদার বিদ্যুৎ চুরি হয়, তার জন্য তারগুলি অবিন্যস্ত অবস্থায় পড়ে থাকে বলেও দাবি স্থানীয়দের। প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না, এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এ দিন ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলা হয় গার্ডরেল দিয়ে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।