কলকাতা : ভোরের শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। নিউ মার্কেটের (Chandnichalk) কাছে একটি কাপড়ের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। পাশের কয়েকটি দোকানও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই দোকান ঘরগুলির ওপরের ফ্ল্যাট থেকে সরানো হয় বাসিন্দাদের। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসেছে। তবে কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


গত মাসেই ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। ৩ কিলোমিটার দূরে শিয়ালদা (Sealdah) থেকেও দেখা যায় আগুন। আশপাশে জনবসতি, নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান করা হয়। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে থাকলেও, পরে আরও ইঞ্জিন বাড়ানো হয়।  


তার আগের মাসেও ট্যাংরার মেহের আলি লেনে গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহতও হন। ট্যাংরার ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে । বিধ্বংসী আগুনে ছারখার হয়ে যায় গুদাম। গুদামের দেওয়ালে ফাটল ধরে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আসে। দীর্ঘক্ষণ আগুনে জ্বলতে থাকে গুদাম। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ আগে আগুন লাগলেও, দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ ওঠে। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আগুনের এতটাই তাপ ছিল যে হাতে রুমাল চাপা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালাতে হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে দিনের পর দিন চলছিল গুদাম? কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? ঘটনার পর ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাপ্রোচ রোড । 


এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করে রাজ্য সরকার। সেই কমিটিতে পুরসভা, পুলিশ ও দমকলের থাকার কথা জানানো হয়। কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরও শিক্ষা নেয়নি রাজ্য সরকার। পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও।