সৌমিত্র রায়, কলকাতা : কালিকাপুর, লর্ডসের মোড়, নিমতলার পরে এবার কাঁকুলিয়া রোড। বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে কাঁকুলিয়া রোডে ঝুপড়িতে আগুন। ৮টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। বন্ধ বাড়িতে প্রদীপ, ধূপ থেকেই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।


আজ সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে। জানা যাচ্ছে, একটি ঘরে ধূপ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে তা তালাবন্ধ করে বাইরে চলে গিয়েছিলেন ঘরের বাসিন্দা। সেখান থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অনুমান করছেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঝুপড়ির অন্যান্য ঘরে। আগুনের লেলিহান শিখা ওপরের দিকে অনেকটা উঠে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। চারিদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করে। এখন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে, এই আগুন আশপাশের আবাসনে ছড়িয়ে পড়লে তা আরও ভয়ের আকার নিত। এমনই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, এখানে ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। যে ঘরগুলি পুড়ে গেছে সেগুলি কলকাতা পুরসভার তরফে পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে।   


দিনকয়েক আগেই পুনরায় আগুন লাগে অ্যাক্রোপলিস মলে । ঠিক পাঁচ মাস আগে এই মলের ফুড কোর্টে আগুন লাগে। আতঙ্ক ছড়ায়। তারপর কয়েকদিন মল বন্ধও রাখা হয়েছিল। এরপর মাত্র মাস পাঁচেকের মধ্যেই আবারও মলে আগুন লাগে। এবারও উৎসস্থল ফুডকোর্ট। 


কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ আগুন লাগে। মলের চারতলায় ফুড কোর্টের একটি কাউন্টার থেকে আগুন ছড়ায় । আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর চেষ্টা করেন ফুড কোর্টের কর্মীরা। ওই বহুতলেই রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার অফিস। আতঙ্ক ছড়ায় সেখানেই। সূত্রের খবর, ৫ মাস আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন অনেক বেশি পারদর্শী মলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হয়।  


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে