হরিদেবপুর: হরিদেবপুরে সিগনাল ভাঙায়, গাড়ি আটকানোয় ট্রাফিক সার্জেন্টের নাক ফাটিয়ে দিলেন স্কুটার চালক। মার খেলেন সিভিক ভলান্টিয়ারও। অভিযুক্ত স্কুটার চালককে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সকাল ৮টা নাগাদ হরিদেবপুরের মহাত্মা গান্ধী রোডের ধাড়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। সিগনাল ভাঙায় স্কুটার চালককে ধাওয়া করেন সিভিক ভলান্টিয়ার মুন্না সাউ। অভিযোগ, প্রথমে তাঁর ওপরেই চড়াও হন স্কুটার চালক। বাধা দেওয়ায় ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আগেও মারধর: এর আগেও একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। বেপরোয়া টেম্পো আটকাতে গিয়ে আগেও আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ। রাস্তার ধারে পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালানো হয়। গতকাল রাতে ডানলপ মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। গাড়ির তিন সওয়ারি-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে বরানগর থানার পুলিশ। রাতে বনহুগলির দিক থেকে জিএলটি রোড ধরে বালির দিকে যাচ্ছিল টেম্পোটি। বেপরোয়া গতি দেখে আটকাতে গেলে গাড়ির চাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। ধাওয়া করে ডানলপ মোড়ের কাছে টেম্পো আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে গাড়ি থেকে রড নিয়ে আসে সওয়ারিরা। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের মারধর করা হয়। ২ জন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশকে মারধরে উস্কানি দেওয়ায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর মেলে।
কন্টেনারের ধাক্কায় মৃত্যু পুলিশ কর্মী-সহ ২ জনের: উল্লেখ্য, আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে জাতীয় সড়কে বেপরোয়া কন্টেনারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মী-সহ ২ জনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও। আহত হন আরও ৪ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন এসআই। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পেট্রোলিং ডিউটিতে ছিলেন নারায়ণগড় থানার পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় ওড়িশাগামী কন্টেনারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিশের গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কন্টেনার ফেলেই পালিয়ে যান চালক। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ।
পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু: নদিয়ার কল্যাণীতে পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু। মদনপুর ও কল্যাণী স্টেশনের মাঝখানে রেললাইনের ধারে পড়েছিল ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতের নাম ইসরাফিল সাহাজি। মদনপুরের জঙ্গল গ্রামে বাড়ি। ব্যারাকপুর স্টেট আর্মড পুলিশের সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নে কর্মরত পুলিশ কর্মী সস্ত্রীক থাকতেন কল্যাণীর পুলিশ কোয়ার্টারে। পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। ফোনেও সাড়া মেলেনি। রাতে কল্যাণী জিআরপি-র তরফে পুলিশ কর্মীর মৃত্যুসংবাদ মেলে। খুন, আত্মহত্যা নাকি, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।