সন্দীপ সরকার, কলকাতা : হাসপাতালে সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় কনুইয়ের নীচে কোনও অলঙ্কার পরতে পারবেন না চিকিৎসক, নার্স , স্বাস্থ্য কর্মীরা। সব কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালের সুপার ও ডিরেক্টরকে এমনই নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অনেক সময়ই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী সেরে ওঠার শেষ মুহূর্তে অন্য কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রক্তে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়।                                    


কী কী পরায় বারণ


চিকিৎসকরা বলছেন, হাতের চুড়ি, ব্রেসলেট, আংটি, ঘড়ি, মোবাইল ফোন- এসব থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার জোন, ICU, HDU, অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্লিবসিলা, স্টেফাইলোকক্কাস, অ্যাসিনেটোব্যাকটরের মতো জীবাণু, ভাইরাস এই সব জোন থেকেই ছড়িয়ে পড়ে।


শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষের পরামর্শ


এই সব জায়গায় মোবাইল ফোনের ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষের মতে, ' বন্ধ করাই ভাল। নখের বিষয় উল্লেখ করলে ভাল হত। এগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। রোগী অনেক সময় অন্য ইনফেকশনে মারা যায়। ৪০০ টয়লেটের সমান জীবাণু থাকে মোবাইলে।' 


সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। দেশে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, হাতের চুড়ি, আংটি, ঘড়ি, ইত্যাদির মাধ্যমেও সমক্রমিত হতে পারে করোনা ভাইরাস। তখন সংক্রমণ এড়াতে এসব অলঙ্কার ও অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার কমিয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু সংক্রমণ তো নানা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার হতে পারে। তাই এবার সচেতনতা শুরু হল চিকিৎসকদের মধ্য থেকে।   

২০১৮ সালে জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এই নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়,যখন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা চিকিৎসা করার সময় আংটি পরেন, তাঁদের আংটিতে ব্যাকটেরিয়া বেশ বাসা বাঁধে। আর যাঁরা আংটি পরেন না, তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম ব্যাক্টেরিয়া বহন করেন। এমনকী স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও সমস্যার নিরসন হয় না।                            


আরও পড়ুন :


ল্যাপটপে বসলেই মাথা দপদপ, চোখ ঝাপসা, কেন ? কী করবেন ?