সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal ) গাড়িতে লালবাতির ( Red Beacon ) ব্যবহার নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে কড়া প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট ( Kolkata Hishcourt ) । ৫০০ টাকা জরিমানাতেই কি দায় শেষ? একজন জেলা সভাপতি কি লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন? অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 
 
লালবাতি লাগানো, কালো গাড়িতে করে SSKM হাসপাতালে অনুব্রত
৬ এপ্রিল , গরু পাচার মামলায়, CBI ডেকে পাঠানোর দিনই, লালবাতি লাগানো, কালো গাড়িতে করে SSKM হাসপাতালে আসেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন । সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।


কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার?  প্রশ্ন
শুনানি-পর্বে প্রধান বিচারপতি সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নিয়ে ৫০০ টাকা জরিমানা করলেই কি রাজ্য সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলেও কেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার?  এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট একেবারেই সন্তোষজনক নয়। 


হাইকোর্ট বলে,  কারা লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনায় যে বৃহত্তর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, আমরা সেটা নিয়ে চিন্তিত। লালবাতি লাগানো গাড়ি কারা ব্যবহার করতে পারেন, এর জন্য নির্দিষ্ট কী নিয়ম কানুন রয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। গাড়ির কাঁচ কত শতাংশ পর্যন্ত কালো থাকতে পারে, বা তার ঘনত্ব কত থাকা উচিত তা নিয়েও হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । মঙ্গলবার ফের শুনানি। 


গত ৩০ এপ্রিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে মামলা দায়ের হয়। কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতি গাড়িতে কলকাতায় আসে? পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে  কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা করা হয়।। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেন, যে লালবাতি লাগানোর এক্তিয়ার নেই অনুব্রতর।