পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পিকনিক গার্ডেনে (Picnic Garden Building Collapse) বেআইনি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ২। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ নির্মাণ শ্রমিককে। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে প্রোমোটারের।
পিকনিক গার্ডেনে বেআইনি নির্মাণ: পিকনিক গার্ডেনে বেআইনি ভাবেই তৈরি হচ্ছিল বহুতল। ২ দিকে মাত্র একফুট করে ছাড় রেখে তৈরি হয় বহুতল। দোতলা তৈরি হয়েছে কার্যত রাস্তার উপরেই। দেড়বছর আগেই ওই বহুতল নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। শনিবার পিকনিক গার্ডেনের থার্ড লেনে এই নির্মীয়মাণ বহুতলের ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে। বাড়িতে রঙের কাজ চলাকালীন নীচে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকের উপর ভেঙে পড়ে সিমেন্টের চাঙড়। অল্পের জন্য় রক্ষা পান এলাকার বাসিন্দা ভবেশ দাস। সেই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অবহেলা, সরকারি নির্দেশনামা লঙ্ঘন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ রয়েছে জেনেও তা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এরা। প্রোমোটার সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে তিলজলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, বেপাত্তা প্রোমোটারের খোঁজ চলছে।
বাড়ির একাংশ ভেঙে আহত হন স্থানীয় বাসিন্দা ভবেশ দাস। তাঁর অভিযোগ, "আমি বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলাম। স্থানীয় একজন ডাকায় দাঁড়িয়ে যাই। হঠাৎই সিমেন্টের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। প্রথমে বাইকের উপরই পড়ে। কাত হয়ে যাওয়ায় আঘাত লাগে পিঠের ডান দিকেও। তিলজলা থানার পুলিশ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। বাইকও মেরামতের ব্যবস্থা করে দেন।'' দুর্ঘটনার পর পুলিশের এই তৎপরতা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছেন, এহল পুলিশ-প্রশাসনের বিলম্বে বোধোদয়। কারণ যে বহুতলের চাঙড় খসে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বহুতলেও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শনিবার দুর্ঘটনার পর নিজেই তা স্বীকার করে নেন। ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফৈয়জ আহমেদ খান বলেন, "বিল্ডিং যেটা হচ্ছে, সেটা অবৈধ বিল্ডিং। আমার কাছে প্রায় এক বছর আগে অভিযোগ এসেছিল। আমি আমাদের নিয়ম অনুযায়ী কলকাতা কর্পোরেশনের বিল্ডিং বিভাগকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে ৪০১-এ মামলা হয়েছে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।