কলকাতা: মহালয়ার আগেই খুলে গেল নতুন টালা ব্রিজ। গতকাল চার লেনের ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ থেকে ব্রিজের ওপর যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।প্রশাসন সূত্রে খবর, মহালয়ার দিন থেকে শুরু হবে যান চলাচল। আপাতত চলবে না ভারী গাড়ি।
উদ্বোধন হয়েছে টালা ব্রিজের:
মহালয়ার আগেই উদ্বোধন হয়েছে নতুন টালা ব্রিজের। আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসানের পরে অবশেষে খুলেছে টালা ব্রিজ। লালবাজার সূত্রে খবর আপাতত ভারী গাড়ি চলবে না। তবে ফোর লেন ব্রিজ হওয়ায় পুজোর আগে ভিড় সামাল দেওয়া যাবে, মানুষের সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পুজোর আগে এটা একটা বড় উপহার, এটা হয়ে যাওয়ার ফলে পুজোর আগে যান চলাচলের সুবিধা হবে। এখনও ভারী গাড়ি চলাচল করবে না। কারণ নতুন বাড়িতে ঢুকলেই দেখবেন কল-লাইট ঠিক নেই। তাই সেগুলি দেখবার জন্য একটু সময় দিতে হবে।' রেললাইনের উপর হওয়ায়, পুরনো টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ করেছে রেল। তার খরচ নিয়ে বলতে গিয়ে, এদিন রেলকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'রেল এটাকে ভাঙতে নিয়েছিল। আমাদের রেলকেও টাকা দিতে হয়েছে। ভেবেছিলাম রেল হয়ত সোশাল ওয়ার্ক হিসেবে এটাকে কনসেশন করে দেবে। রেল নিয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। মাঝেরহাটের ক্ষেত্রেও ৩৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছে।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'রেল টাকা দিচ্ছে না, বা বাকি রেখে এরকম ঘটনা শোনা যায়নি। যারা মুখ্যমন্ত্রীকে তথ্য বিলি করেন, তাঁরাই কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করেছেন।'
নতুন টালা ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, '১১ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগেও একাধিক ব্রিজ করেছিল, মা-৪৫০ কোটি, কামালগাজি - ১০০ কোটি, এই ভাবে অনেক টাকা খরচ। এর ফলে কলকাতায় যান চলাচলে গতি এসেছে।'
নতুন রূপে টালা ব্রিজ চালু হওয়ায়, অবশেষে যানজটের যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে বলে আশাবাদী নিত্যযাত্রীরা। পুজোর ঠিক আগে আগে, মহালয়া থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল শুরু হয়ে যাওয়ায় বাকি সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছেন শহরবাসী।
আরও পড়ুন: