কলকাতা: ‘একাকী পড়ুয়ার উৎসবে যোগদান করতে পারবেন না। সঙ্গী খুঁজে নথিভুক্ত করতে হবে নাম।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ভ্যালেন্টাইনস ডে (Valentine day) পালনের ‘নোটিস’ ঘিরে তোলপাড় নেটপাড়া। ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral Notice) হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি। যদিও এই নোটিসের বৈধ নয় বলেই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University Authority) কর্তৃপক্ষ। কে বা কারা এই নোটিস দিয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, রেজিস্ট্রারের সই জাল করে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। 'ভুয়ো নোটিসের' ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই স্বজনপোষণ, প্যানেল প্রকাশ না করেই চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University) । সেখানে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। মামলার ভিত্তিতে ২ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। কম যোগ্যতাসম্পন্নকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ৩ সপ্তাহ পরে হাইকোর্টে ফের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি আরও একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) টাকা নিয়ে ভর্তির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। ধৃতদেরকে জেরায় উঠে আসে আরও ২ জন যাদবপুরের পড়ুয়ার নাম। যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে (Engineering Department) ভর্তির জন্য চলছিল কাউন্সেলিং (Counseling)। ৪৩৭ পদে ভর্তির জন্য চলছিল কাউন্সেলিং। টাকার বিনিময়ে ভর্তির জন্য কথোপকথন ২ বহিরাগতর। পড়ুয়াদের নজরে আসায় জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যাদবপুর থানায় (Jadavpur Police Station) অভিযোগ দায়ের করার পর গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। ধৃত ২ জন হাওড়ার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম সুরজ মুখোপাধ্যায় ও সৌভিক মণ্ডল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে, জানাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে এদিন যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং চলছিল। সেই সময় ৩ নম্বর গেটের কাছে টাকার বিনিময়ে ভর্তি নিয়ে কথা বলছিল ২ বহিরাগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বুঝতে পেরে ওই দুজনকে নিয়ে যান সহ উপাচার্যের ঘরে। দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই যাাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।