কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur) ছাত্রমৃত্যুকাণ্ডে (Student Death) অবশেষে পকসো আইনে (POCSO ACT) মামলা পুলিশের। ছাত্রমৃত্যুর প্রায় ১ মাসের মাথায় পকসো আইনে মামলা রুজু। তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। র্যাগিং কাণ্ডে (Ragging Case) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধেই পকসো আইনে মামলা পুলিশের। বিবস্ত্র করে যৌন কটাক্ষ করা হয়েছিল নদিয়ার ছাত্রকে, পুলিশ সূত্রে খবর। যাদবপুর থানার হাত থেকে তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রমৃত্যুর ২৫ দিন পরে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন ইউজিসির প্রতিনিধিদল। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিরা। ৪ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, অধ্যাপক শশীকলা আঞ্জারি, অধ্যাপক সঞ্জয় শ্রীবাস্তব, অধ্যাপক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিপিন কৌশল। অরবিন্দ ভবনের দোতলায় সহ উপাচার্যের ঘরে একাধিক আধিকারিককে একে একে তলব করেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। ডাকা হয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, এবং মৃত ছাত্র যে বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন তার প্রধান ও অধ্যাপকদের।
এরপর UGC-র প্রতিনিধিরা জানতে চান,
- ইউজিসির গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কতখানি মানা হয়েছে?
- মৃত্যুর আগে ওই পড়ুয়ার আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল কি না?
- ওরিয়েন্টেশনের দিন কী হয়েছিল?
- অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি কী কাজ করেছে?
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে যখন হইচই, তখনই ওই পড়ুয়ার পরিবারকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Mamata Banerjee) ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে না পারলেও প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, সেই সময় ছাত্রের পরিবারকে এই আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার পর, যাদবপুর-কাণ্ডে একের পর এক গ্রেফতারি হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ফের ফোন করেন মৃতের পরিবারকে। তাঁদের আর কোনও আবেদন বা প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সে সবই জানতে চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পড়ুয়ার পরিবারকে নবান্নে আসতে বলেন। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সেই নিয়েই কথা চলছে নবান্নে। অন্য দিকে, পড়ুয়া-মৃত্যুর ২৫ দিনের মাথায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (JU Student Death) এল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের টিম। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছে ৪ সদস্যের ওই টিম। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের র্যাগিং রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ইউজিসি কর্তৃপক্ষ।