হিন্দোল দে, কলকাতা: জোড়াবাগানে পরিবহণ ব্যবসায়ীর অফিসে তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই তাণ্ডবের ছবি।  ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সকালে একদল দুষ্কৃতী আচমকা হামলা চালায়। অফিসের কর্মীদেরও মারধর করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী কারণে হামলা, তা স্পষ্ট নয়। 


পর পর চড়! তারপর কিল, ঘুষি। এলোপাথাড়ি মারধর। তারপর অন্য একটি ঘরে ঢুকে আরেক জনকেও বেধড়ক মারধর। জোড়াবাগানের মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে, এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর অফিসে ঢুকে এভাবেই তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। 


বেধড়ক মারধর করা হল অফিসের ম্যানেজার সহ একাধিক কর্মীকে। ভাঙচুরও করা হল অফিসও! কিন্তু, কেন এই তাণ্ডব? পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সোয়া ছটা নাগাদ, জোশি ট্রান্সপোর্টের অফিসের সামনে, গাড়ি থেকে নামানোর সময় একটি বস্তা স্কুটারের ওপর পড়ে যায়। 


এর পরই জোশি ট্রান্সপোর্টের এক কর্মচারীকে মারধর করেন স্কুটার আরোহীরা। কয়েক মিনিট পরেই ওই অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জোড়াবাগান থানার পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরে ইতিমধ্যেই বেশকয়ের জন আটক করা হয়েছে। 


কামারহাটিতে বোমা বিস্ফোরণ: এর আগে কামারহাটিতে ব্যাগে করে বোমা নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। ব্যস্ত সময়ে, কামারহাটির (Kamarhati)  জনবহুল এলাকায় বোমা ফেটে গুরুতর জখম হল এক দুষ্কৃতী। বিস্ফোরণে আহত এক মহিলা-সহ আরও ২ জন। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। জখম দুষ্কৃতীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি করে। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ, কামারহাটিতে গ্যাস রিফিলিং সেন্টারের সামনে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। প্রথমে পুলিশ দাবি করে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। যদিও বোমা ছোড়ার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। দমকল জানায়, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি।  


বোমা বিস্ফোরণ, জখম একাধিক: কামারহাটি থেকে টিটাগড়, কাঁকিনাড়া থেকে মিনাখা,পঞ্চায়েত ভোটের আগে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে বোমা বারুদের আস্ফালন। কোথাও বিস্ফোরণে মৃত্য়ু হয়েছে শিশুর। কোথাও বোমায় জখম হয়েছে স্কুল পড়ুয়া। এরইমধ্যে, মঙ্গলবার সকালে, কামারহাটির জনবহুল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। জখম হন স্কুল পড়ুয়া, মহিলা সহ বেশ কয়েকজন। 


কামারহাটির নীলরতন অধিকারী রোড, অত্যন্ত ব্য়স্ত রাস্তা।এদিন সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বিভিন্ন জিনিসের ভাঙা টুকরো। আহত হন স্কুল পড়ুয়া, মহিলা সহ বেশ কয়েকজন পথচারী। কিন্তু কী থেকে বিস্ফোরণ, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। প্রথমে মনে করা হয়, গ্য়াস রিফিলিংয়ের সময় বিস্ফোরণ ঘটে।কিন্তু দমকল এসে জানায়, বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ হয়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বোমার স্প্লিন্টার। কিন্তু কী কারণে বিস্ফোরণ? 
তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ব্য়াগে করে বোমা নিয়ে য়াওয়া হচ্ছিল। সেই সময় ব্য়াগটি মাটিতে পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে।