সঞ্চয়ন মিত্র ও প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা: খুশির ইদে (Eid Celebration) মাতোয়ারা গোটা দেশ। সম্প্রীতি, শান্তির বার্তা ভেসে আসছে চারিদিক থেকে। তবে শুধু কথায় নয়, তা কাজে করে দেখাল খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি (Durga Puja)। শনিবার ইদের দিন সম্প্রীতির নজির গড়ল তারা। ইদের নমাজ পাঠ শেষ করে দুর্গাপুজোর প্রতিমার বায়না দিলেন নাসির আহমেদ। ভেদাভেদ নয়, ভালবাসাই বাংলার উৎসবের মূল মন্ত্র, তা প্রমাণ করলেন খিদিরপুরের বাসিন্দারা (Kolkata News)। 


আবহমান সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল মহানগর


খুশির ইদে মন ভাল করে দেওয়া এই ছবি ধরা পড়ল খিদিরপুরে। আবহমান সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল মহানগর। এ বছর ৯৭ বছরে পদার্পণ করছে খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। খিদিরপুরে বরাবরই পাশাপাশি থাকেন হিন্দু-মুসলিম, এই দুই সম্প্রদায়ই। যে কোনও উৎসবে, পার্বণে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন সকলে মিলে। 

খিদিরপুরের মনসাতলা লেন। এখানে অর্চনাদের পাশেই থাকেন আয়েশারা। ইদের দিনে আশরফের সঙ্গে কোলাকুলি সারেন আশিস। ইফতিকারের বাড়িতে পৌঁছে যায় বিজয়ার মিষ্টি। বছরের পর বছর একসঙ্গে বাঁচা, হাতে হাত ধরে চলা। শামিল হওয়া পরস্পরের পার্বণে। এবার খুশির ইদে সেই বন্ধন আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিল খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। এলাকার এক মুসলিম ভাইয়ের হাত দিয়ে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বায়না করলেন পুজোর আয়োজকরা। বিভেদ ভুলে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এই প্রচেষ্টা বলে তাঁরা জানিয়েছেন।




দুর্গাপ্রতিমার বায়না


আরও পড়ুন:DA: নবান্নের বৈঠক ব্যর্থ, লাগাতার ধর্মঘট ও ডিজিটাল অসহযোগিতার মেয়াদ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি


শনিবার ইদ উপলক্ষে রেড রোডেো প্রতি বছরের মতো নমাজের আয়োজন হয়। তার আগে সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সম্প্রীতির বার্তাই দেন তাঁরা। মমতাকে বলতে শোনা যায়, "নিজের জীবন দিতে রাজি আছি আমি। কিন্তু দেশকে টুকরো হতে দেব না।" 


সম্প্রীতিই বাংলার উৎসবের মূল মন্ত্র, মনে করাল খিদিরপুর


অভিষেকও বাংলার সংস্কৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ইদ হোক বা অন্য কোনও উপলক্ষ্য়, উৎসবে বাংলা কখনওই ভেদাভেদ করেনি বলে জানান তিনি। বাংলার এই শান্তি এবং সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ধর্ম নয়, সম্প্রীতিই বাংলার উৎসবের মূল মন্ত্র, ইদের দিন তা আরও একবার মনে করাল খিদিরপুরের এই পুজো কমিটিও।