সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ব্যাগে সন্তানের দেহ নিয়ে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি। কেন মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়ি মিলল না ? উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল স্বাস্থ্য ভবন। ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙের সিএমওএইচের তরফে জমা পড়েছে প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে নবান্নের নির্দেশে তদন্তে নামল স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।


টাকার অভাবে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি। তাই ব্যাগে সন্তানের দেহ নিয়ে, ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়েছে হতভাগ্য বাবাকে। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের এই অমানবিক ঘটনায় তদন্ত শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই এনিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়েছে দার্জিলিঙের সিএমওএইচের প্রাথমিক রিপোর্ট। যেখানে ভুল বোঝাবুঝির তত্ত্ব উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর।


উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার ৫ মাসের শিশুর। এরপর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুর দেহ ব্যাগে নিয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা টোটোয় করে বাবা প্রথমে পৌঁছন তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ১৭৭ কিলোমিটার রাস্তা আসেন বাসে করে। এরপর, রায়গঞ্জ থেকে ফের বাসে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছন কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এরপর সেখান থেকে আরও ৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে, সন্তানের দেহ নিয়ে বাড়ি পৌঁছন অসীম দেবশর্মা। মৃত শিশুর বাবার অভিযোগ, হাসপাতাল সুপারকে গোটা ঘটনার কথা জানালে কোনও ব্য়বস্থা করা হয়নি। 


 নবান্নের নির্দেশে দার্জিলিঙের সিএমওএইচের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য ভবন। কেন মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার গাড়ি দেওয়া গেল না? কেন রোগী কল্যাণ সমিতির টাকায় কিছু ব্যবস্থা হল না? সূত্রের খবর, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। একাধিক ব্যক্তিকে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করবেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


 কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের। রিপোর্ট তলব করেছে সিএমওএইচও।  জলপাইগুড়ি, পূর্ব বর্ধমানের মতো ফের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তর দিনাজপুর। বেসরকারি অ্যামবুল্যান্সের দাবি মতো টাকার জোগাড় করতে না পেরে, মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। অমানবিক এই ঘটনা প্রত্যাশিত নয় বলে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর 'এগিয়ে বাংলা' মডেলকে বিঁধল বিজেপি।