কলকাতা: দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে কার না বের হতে ইচ্ছে করে, তবে অনেকে বাইরে বেরিয়েও স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়তে পারেন না। কখনও টেনশন, আবার কখনও শারীরিক রোগ হাতিছানি দেয় সপ্তাহান্তের ছোটখাট ভ্রমণেও। মুশকিল আসান কিন্তু আপনার রান্নাঘরের মশলাই। আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনার হেঁশেলে রাখা মশলাগুলিই আপনার জীবনে ম্যাজিক দেখাতে পারে, একঘেয়েমি পেরিয়ে দেখাতে পারে স্বস্তির সূর্য।


প্রথমত, রান্নাঘরের শুধু একটি দ্রব্য সামগ্রী নয়, বেশ অনেকগুলি দ্রব্য সামগ্রীই আপনার রোগ সারিয়ে তুলবে, মন ভাল রাখবে, ওজন কমাবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল দারচিনি, এলাচ, মৌরি, মেথি। খাদ্যতালিকায় দারচিনি যোগ করলে তা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কম হয়। তবে অ্যারোমাথেরাপিতেও এর উপকারিতাকে ব্যবহার করা হয়। নানা ধরনের মানসিক চাপ থেকেও দূরে থাকা যায়, সিনামন বা দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েলে।


পাশাপাশি এলাচের গুনও কম নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, মধুমেহ রোগীদের জন্য এলাচের জল দারুণ উপকারী। এছাড়াও নিয়মিত এলাচের জল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক থাকে। এখানেই শেষ নয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত এলাচের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছাড়াও হজমের যেকোনও সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এলাচের জল।


অপরদিকে, রান্নাঘরে আরও একটি অন্যতম উপাদান হল মৌরি। মৌরিতে একাধিক উপকারি উপাদান রয়েছে। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের  মতো খনিজ রয়েছে। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। মৌরির পুষ্টিগুণ হার্ট এবং ধমনীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখে। হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মৌরি। এই কারণেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে মৌরি। ভাল ফল পেতে নিয়মিত মৌরি চা খাওয়া যায়। মৌরিতে একাধিক জৈব যৌগ রয়েছে। যা সুষ্ঠুভাবে পাচনতন্ত্র চালাতে সাহায্য করে। পরিপাক প্রক্রিয়া ভাল রাখায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে নিয়মিত মৌরি খেলে। পাশাপাশি, গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে মৌরি। 


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের


রইল বাকি ১। মেথির মতো শরীর ভাল রাখতেও জুড়ি মেলা ভার। সাধারণত শরীরের ক্লোরেস্টেরল কমাতে মেথি ভিজিয়ে রাখা রস খুবই উপকারি। কিন্তু রোজদিন কখনওই খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভাল হবে।