কলকাতা : পুজোর আগে পথে বসলেন ব্যবসায়ীরা। ঘর ভরা এখন শুধুই শূন্যতা। সাত সকালে সন্তোষপুর স্টেশনে আগুন লেগে পুড়ে খাক হয়ে গেল একের পর এক দোকান। ব্যাহত হল ট্রেন চলাচল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বজবজ লাইনের সন্তোষপুর স্টেশনে সকাল ৭টা নাগাদ আগুন লেগে যায়। প্রথম  আগুন দেখা যায় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে । তারপর দ্রুত গতিতে ছড়ায় আগুন। কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠতে শুরু করে কালো ধোঁয়া। লেলিহান শিখা দেখা যায় দূর থেকে। সকাল ৭ টা থেকে ওই লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল ।  

পুজোর আগে সর্বহারা ব্যবসায়ীরা            মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্ল্যাটফর্মের ছোট-বড় একাধিক দোকানে। আগুনে ভস্মীভূত দোকানের ভেতরে থাকা সব সামগ্রীই। চারিদিকে শুধুই হাহাকার। পুজোর আগে সর্বস্ব হারিয়ে ফেললেন বহু মানুষ।  কীভাবে লাগল আগুন?                                  আগুনে আতঙ্কে যাত্রী থেকে দোকানদাররা । প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর লড়াই চলছে।  শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, অনুমান দমকল আধিকারিকদের। তবে এখনও বাগে আসেনি আগুন। 

দুর্ভোগে রেলযাত্রীরা                 এদিকে আগুন ঘিরে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। সপ্তাহের দ্বিতীয় ব্যস্ততম দিনে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বজবজ পর্যন্ত বেশ কিছুক্ষণের জন্য বিঘ্নিত থাকে ট্রেন পরিষেবা। রেল সূত্রে খবর, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কিছুক্ষণের জন্য মাঝেরহাট পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে পরিষেবা দেওয়া হয়। দমকলের NOC না পর্যন্ত এভাবেই চলে ট্রেন পরিষেবা বলে খবর। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের শিয়ালদা গামী ট্রেনটি রওনা দেয়।  ট্রেনযাত্রী ও রেলকর্মী শিবানী ভট্টাচার্য জানালেন , 'ট্রেন ৭টা ১৫ থেকে বন্ধ ছিল। কারণ তার আগেই আগুন লেগে যায়। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আগুন লাগার ফলে আমাদের ট্রেন বন্ধ করতে হয়েছে। ৭টা ১৫ তে আমাদের ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। নৈহাটি যেতে পারেনি। ' 

এরপর, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, কিছুক্ষণের জন্য মাঝেরহাট পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় শেষমেষ নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ, ফের সন্তোষপুর স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।