অরিত্রিক ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: মেয়ো রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। উল্টে গেল মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের মিনিবাস। পিছনের জানালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে যাত্রীদের। আহত যাত্রীদের পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। বাইক বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি, দাবি যাত্রীদের। বাসের ধাক্কায় উল্টে গেছে বাইকটিও। 


 মেয়ো রোডে বাস উল্টে মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হয়েছেন ১৭ জন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বাসের গতি বেশি ছিল বলে দাবি যাত্রীদের। মেয়ো রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। যাত্রী বোঝাই মিনি বাস উল্টে মৃত্যু হল ২ জনের। আহত হয়েছেন ১৭ জন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই মিনি বাসটি মেটিয়াবুরুজের দিক থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। একটা বাইককে ধাক্কা মেরে বাসটি উল্টে যায়। দরজার দিকে বাসটি উল্টে যায়। ফলে, বাসের ভিতরেই আটকে পড়েন যাত্রীরা। পরে, বাসের সামনে এবং পিছনের কাচ ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। ক্রেন এনে বাসটিকে সোজা করে পুলিশ। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুর্ঘটনার জেরে মেয়ো রোডে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়। 


আগেও দুর্ঘটনা: দুটি বেসরকারি বাসের মধ্যে রেষারেষির (Private Bus Race) প্রতিবাদে বাস ভাঙচুর (Bus Vandalized) চালালেন যাত্রীরাই (Passengers Clash)। সম্প্রতি সকাল ১১ টা নাগাদ ডোমজুড়ের (domjur) অঙ্কুরহাটিতে মোড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর হাওড়া থেকে আমতার ঝিকিরা এবং উদয়নারায়ণপুরের ডিহিভুরসুট রুটের দুটি বাসের মধ্যে যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষি শুরু হয়। রাস্তার বেশিরভাগ অংশে দুটি বাসের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে রেষারেষি হওয়ার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তার পরই এই ঘটনা।


কী ঘটেছিল?
ঝিকিরা রুটের বাসটি যখন অঙ্কুরহাটির কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ওভারটেক করে তখন ডিহিভুরসুট রুটের বাসের যাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। বেশ কয়েকজন যাত্রী লোহার রড দিয়ে ঝিকিরা রুটের বাসটির উপর চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় বাসটিতে। কাচের টুকরো লেগে দুই যাত্রী আহত হন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নিবড়া ট্রাফিক গার্ডের ট্রাফিক সার্জেন্ট। দুটি বাস এবং চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আতঙ্কিত যাত্রীরা জানিয়েছেন, যে ভাবে চালকরা বাস চালাচ্ছিলেন তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ঝিকিরা রুটের বাসের কন্ডাক্টারের দাবি, এই রুটে কমিশন সিস্টেমে বাস চালানো হয়। তাই যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষি থাকে। ঘটনাচক্রে এদিনই জলপাইগুড়িতে দুদুটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্য়ে একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় জখম ১।