কলকাতা: কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে (Calcutta Medical College anad hospital) রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্য়ু। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম মনোরঞ্জন বিশ্বাস। বয়স ৪৮। বাড়ি উত্তরপাড়ায় (Uttarpara)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গ্রিন বিল্ডিংয়ে অর্থোপেডিক (Orthopedic) বিভাগে ভর্তি ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার (Operation) হওয়ার কথা ছিল। এরইম মধ্যে আজ ভোরবেলা, ওয়ার্ড ও শৌচাগারের মাঝে দমকলের জলের পাইপে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্য়া বলে প্রাথমিক অনুমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ওয়ার্ডে নজরদারি বাড়াতে ৫ থেকে ৬ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষ।


প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে: সরকারি হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! তাও আবার কলকাতা মেডিক্যালের মতো প্রথম সারির হাসপাতালে! যা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল নজরদারির অভাব নিয়ে...।  শুক্রবার ভোরে, কলকাতা মেডিক্যালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে, ওয়ার্ড ও শৌচাগারের মাঝে একটি জায়গা থেকে এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৪৮) নামের ওই রোগী হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। ৩ দিন আগে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি হন তিনি। অস্ত্রোপচার হয়েছিল মনোরঞ্জনের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার পাইপ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর। গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল হাসপাতালেরই বিছানার চাদর দিয়ে। 


কীভাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মনোরঞ্জনের পার্কিনসনস-এর সমস্যা ছিল। ডিপ্রেশনও ছিল তাঁর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমান, ডিপ্রেশনেই আত্মঘাতী হয়েছেন চিকিৎসাধীন ওই রোগী। কিন্তু কলকাতা মেডিক্য়ালের মতো এত বড় সরকারি হাসপাতালে সবার নজর এড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নজরদারি বাড়াতে ৫-৬ জন সদস্যের টিম গঠন করা হবে। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal : দিল্লিতে আদালতে পেশ অনুব্রতকে, ১১ দিন হেফাজতে নিতে আবেদন ED র


এদিকে, মাসদুয়েক আগেই ফের সরকারি হাসপাতালে রেফার-রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। ৩টি হাসপাতাল ঘুরে NRS-এ চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। মৃতের নাম মেঘনাদ চন্দ্র। পরিবারের দাবি ছিল, খেলতে গিয়ে কুচকিতে চোট পান বছর ছাব্বিশের যুবক। এরপর বাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, প্রথমে এম আর বাঙুর, এরপর এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ঘুরে NRS-এ নিয়ে আসা হয়েছিল যুবককে। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসক আসেননি। বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখায় যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তখনই রোগীর মৃত্যু হয়, দাবি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।