ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : 'চরক-শপথ' (Charak Oath) নিয়ে প্রবল বিতর্ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College)। অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যালে প্রথম বর্ষের প্রথম ক্লাসেই ডাক্তারি পড়ুয়াদের নেওয়ানো হয়েছে বিতর্কিত ‘চরক’ শপথ। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা। সিনিয়র পড়ুয়াদের অভিযোগের তির কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষের দিকে। আর কর্তৃপক্ষের দাবি, গোটা ঘটনাটাই হয়েছে, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Commission) গাইডলাইন মেনে।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র-র কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। তাদের দাবি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে কোনওরকম লিখিত নির্দেশ না থাকলেও কার্যত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ডাক্তারি পড়তে আসা প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের প্রথম দিনে প্রথম ক্লাসেই নেওয়ানো হয়েছে চরক শপথ। যদিও কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্যে অনড়। তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনেই কাজ করার কথা জানিয়েছেন। এদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যে ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রথম ক্লাসের প্রথম দিনেই চরক শপথ নেওয়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তারা কোর্স শেষে আবার নতুন কোনও শপথ নেবেন কি না বা আদৌ শপথবাক্য পাঠে সরকারিভাবে কোনও বদল হবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
ঠিক কী নিয়ে সমস্যা ? ডাক্তারি পাশ করার পর পড়ুয়াদের তাঁদের গ্র্যাজুয়েশনের দিনে নেওয়ানো হয়ে থাকে হিপোক্রেটিক ওথ’ (Hipocratic oath)। হিপোক্রেটাসের শপথবাক্য পাঠ করেই রোগী চিকিৎসায় ব্রতী হন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া হয়ে থাকে হোয়াইট কোটও। কিন্তু কিছুদিন আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি গাইডলাইন ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে প্রস্তাব নেওয়া হয়, এবার থেকে ভারতীয় চিকিৎসকরা পাশ করার পর হিপোক্রেটিক ওথের বদলে চরক শপথ নেবেন।
আরও পড়ুন- কলকাতা মেডিক্যালে প্রথম বর্ষের প্রথম ক্লাসেই বিতর্কিত ‘চরক’ শপথ ! রইল ভাইরাল ভিডিও
চিকিৎসকদের একাংশ ও বিরোধীদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে চিরাচরিত ধরণ-ধারণ পাল্টে নিজেদের মতো করে ভারতীয় ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে, এই শপথবাক্য পাঠে বদলও তেমনই এক পদক্ষেপ। যদিও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এখনও সরকারিভাবে বদলও হয়নি প্রস্তাবের জায়গায়। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।