সুজিত মণ্ডল, চাকদা : পুরভোটের প্রচারে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন নদিয়ার চাকদার (Chakda ) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বঙ্কিম ঘোষ। গতকাল চাকদায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে তিনি দলের কর্মীদের বলেন, ছাপ্পা ভোট দিতে দেখলে ইভিএম ভেঙে দিয়ে চলে আসবেন। ' যদি ছাপ্পা মারতে দেখেন, তাহলে ইভিএম তুলে আছাড় মেরে ভেঙে চলে আসবেন ' , বলেন বিধায়ক। 


সোমবার বিকেলে নদিয়ার চাকদায় নির্বাচনী প্রচারসভা করেন বিজেপির বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ (Bankim Ghosh) । পদ্মচিহ্নে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নির্বাচনী সভামঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ' আঠেরো সালের পঞ্চায়েত আর পনেরো সালের পৌরসভা নির্বাচনের কথা স্মরণ করে আপনারা ভোট দিতে যাবেন। আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আপনারা নিজেরা প্রয়োগ করুন।  আর যদি আপনাদের বাধা দেয়, আপনারা যদি ওই ইভিএম মেশিনের কাছে গিয়ে কাউকে ছাপ্পা মারতে দেখেন, তাহলে ইভিএম তুলে আছাড় মেরে ভেঙে চলে আসবেন। তবু আপনারা অবৈধ ভোট মেনে নেবেন না।' 

আরও পড়ুন :


'বিজেপি প্রার্থীকে মারধর', কাঠগড়ায় তৃণমূল, পুরভোটের আগে অশান্ত বর্ধমা



    এই কথা প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) যুব সভাপতি শুভঙ্কর সিংহ বলেন, ' এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক কথা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, একজন বিধায়ক হয়ে এই কথা বলাটা আমার মনে হয় না ঠিক হয়েছে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার করছেন চাকদায়। কোনও বাধা বিঘ্নের মধ্যে তিনি এখনও পড়েননি। চাকদা শহরের মানুষ অথবা তৃণমূল কংগ্রেস দল কখনোই বিরোধীদের বাধা দেয়নি। মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই।  শালীনতা বজায় রেখে কথা বলুন। ভাষার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেটাই কামনা করি।'

 বিধায়কের এই মন্তব্যের সময় মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এইদিনই শুভেন্দু অধকারীর সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়ে যায়। অশান্তি এড়াতে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, পুরসভার ভোট হলেও পুর এলাকায় তাদের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। চাকদা বাসস্ট্যান্ড, তাতলা ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে। আর প্রচার শেষে এই নিয়েই চাকদা থানার আইসি-র সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে বলেও, অভিযোগ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।  বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি (নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা) ভাস্কর ঘোষ বলেন,' আমাদের পুরসভা মিটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত এলাকায় দেওয়া হয়েছে। তার জন্য বিরোধী দলনেতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রশাসন বাধা দেয় '