অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : থামে ফাটল, বসে যাচ্ছে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনের বিভিন্ন অংশ। মাত্র ১৫ বছরেই নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনের এই ঘটনায় চলছে দায় ঠেলাঠেলি। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের ভিত্তি নির্মাণে ত্রুটি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রেল বোর্ড। 

কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের আপ-ডাউন দু'দিকের প্ল্যাটফর্মই বসে গেছে। পরপর পিলারে ফাটল। উদ্বোধনের ১৫ বছরের মধ্য়ে এই বিপর্যয় ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি চলছে। এই প্রেক্ষিতেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হল, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের ভিত্তি নির্মাণে ত্রুটি নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ছিল? কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন সেটা ২২ মিটার গভীর ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে তৈরি করা হয়েছে। গঠনগতভাবে তৈরির সময় কোনও সমস্য়া ছিল না। তাহলে কী সমস্য়া রক্ষণাবেক্ষণের? নয়তো ১৫ বছরের মধ্য়েই একটি মেট্রো স্টেশন এরকম বিপর্যয় কী করে? 

সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে রাইটসের তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, তাতেও ত্রুটি ধরা পড়েছিল। পুজোর পর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরুর কথা ছিল। তার আগেই এই বিপর্যয়। অন্যদিকে, টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত অধিকাংশ মেট্রোর পিলার নিয়েও রিপোর্টে উদ্বেগজনক তথ্য় উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে বিপর্যয়ের জেরে আপাতত যাত্রী পরিষেবা চলছে শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো পর্যন্ত। মেট্রো রেলকে কবি সুভাষ স্টেশনে নিয়ে ক্রসওভার করানো হচ্ছে। গোটা ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রেল বোর্ড। 

অন্যদিকে আচমকা নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ প্রবল সমস্যায় জেরবার হচ্ছে। রোজই ভোগান্তিতে নাকাল হতে হচ্ছে তাঁদের। এইসব যাত্রীদের সুবিধার্থেই নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম (ব্রিজি এলাকার জন্য মেট্রো স্টেশন) পর্যন্ত শাটল পরিষেবার বন্দোবস্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে পরিষেবা। ভাড়া ১০ টাকা। এর ফলে যে যাত্রীরা নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রো চড়েন, তাঁরা সহজে শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে মেট্রো ধরতে পারবেন।