রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, কলকাতা: আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ২৮ ও ২৯ মার্চ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখার্জি অর্থাৎ রুবি পর্যন্ত সমস্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে (Kolkata Metro Service)। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত নতুন একটি মেট্রো লাইন ইনস্পেকশন করবেন। সেই কারণে ওই সেকশনে দুদিন মেট্রো সার্ভিস বন্ধ থাকবে (Kolkata Metro Service)। 


নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশের মেট্রো পরিষেবায় স্বস্তি


লোকসভা ভোটের বছরে ডানা ছড়িয়ে এগিয়ে চলেছে কলকাতা মেট্রো। বলাইবাহুল্য নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশের মেট্রো পরিষেবায় সুবিধা হয়েছে শহরবাসীর। রাস্তার জ্যাম-জট ছাড়াই সহজেই গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো। মার্চের মাঝামাঝি মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, যাত্রীর আনোগোনা বুঝেই মেট্রোর সংখ্যা বাড়াবে রেল কর্তৃপক্ষ।


এক টোকেনেই কেল্লাফতে


রুবি থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত অংশে রয়েছে মোট ৫ টি স্টেশন। এই রুটে মেট্রো সফরে নুন্যতম ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা যাত্রী প্রতি ধার্য করা হয়েছে। নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটের দৈঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এটি ব্লু লাইন নামে পরিচিত। অপরদিকে, অরেঞ্জ লাইনে নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্টের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিমি। অর্থাৎ এক টোকেনেই কেল্লাফতে। দক্ষিণেশ্বর থেকে রুবি মোড় অবধি পৌঁছে যাওয়া যাবে মুহূর্তেই। 


ঐতিহাসিক মেট্রো সফর


চলতি বছরে রাজ্যে মেট্রো সফরের ঐতিহাসিক মুহূর্ত অবশ্যই  গঙ্গার নীচে যাত্রা পথ। ইতিহাস রচনা করেছে কলকাটা মেট্রো। আর সেই ইতিহাসে যাঁদের নাম লেখা হল, তাঁদের একজন বিকাশ কর। ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত গঙ্গার নীচ দিয়ে যাওয়া প্রথম মেট্রোর চালক। দিবাকরের চালানো ট্রেনে সফর করলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েরা। মাথার ওপর বয়ে যাচ্ছে পুণ্যদায়িণী গঙ্গা তার নীচে মাটির গভীরে টানেল দিয়ে ছুটে চলেছে মেট্রো।


আরও পড়ুন, বসিরহাটের BJP প্রার্থী রেখা পাত্রকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বললেন..


রাতজাগা মানুষের ভিড়


সেই মেট্রো সফরে সাক্ষী হতে স্টেশনে স্টেশনে রাতজাগা মানুষের ভিড়। গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গে নীল আলো দেখতে রাত থেকে টিকিটের জন্য লাইন দেন যাত্রীরা। ধর্মতলা থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে যাত্রীবাহী প্রথম ট্রেন পৌঁছল হাওড়া ময়দানে। যে সফর নিয়ে এত হইচই, সেই সফরের প্রথম ট্রেনের চালকের আসনে ছিলেন দমদমের বাসিন্দা বিকাশ কর। অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনটিতে সফর করেন, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। ঐতিহাসিক সফরের অংশ হতে পেরে যাত্রীদের পাশাপাশি, খুশি প্রথম মেট্রোর চালকও।