কলকাতা: লাইনে জল জমার জের। ফের কাজের দিনে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা। যতীন দাস পার্ক ও নেতাজী ভবন মেট্রো স্টেশনের মাঝে জল জমে রয়েছে। চূড়ান্ত হয়রানি নিত্যযাত্রীদের। ব্যস্ত রুটে আচমকা ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা।
ফের অফিস টাইমে মেট্রো ভোগান্তি। এবার মেট্রোর ট্র্যাকে জল জমে থাকায় ময়দান, রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন ও যতীন দাস পার্কে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। চূড়ান্ত হয়রানি নিত্যযাত্রীদের। কোথায় কতটা জল জমে আছে এবং জলের উৎস কী, তা জানতে ইতিমধ্যেই, ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।। অন্যদিকে কলকাতা মেট্রো সূত্রে দাবি, আপাতত দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান ও টালিগঞ্জ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম অর্থাৎ ব্রিজি পর্যন্ত আপ-ডাউন দুই দিকেই চলছে মেট্রো। এখন কোথা থেকে ঢুকেছে জল এবং কীভাবে তা সরানো হবে, তা জানতে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে। তবে, এর আগেও দু'বার এই একই ঘটনা ঘটেছিল বলে সূত্রের খবর।
গত মাসে নিউ গড়িয়া স্টেশনে থামে ফাটল দেখা গিয়েছিল। বসে গিয়েছে প্ল্যাটফর্মও। আর তাতেই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ওই স্টেশন। শহরের লাইফলাইন মেট্রো নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। যানজট এড়িয়ে অল্প সময়ে লম্বা দূরত্বে সফর করার একমাত্র মাধ্যম কলকাতা মেট্রোর স্বাস্থ্য ভাবাচ্ছে আধিকারিকদেরকেও। চার দশকের পুরনো মেট্রোর পরিকাঠামো কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে সম্প্রতি সমীক্ষা করায় মেট্রো রেল। সমীক্ষার রিপোর্টের পর এবার দক্ষিণেশ্বর নিউ গড়িয়া রুটে মেট্রোর পরিকাঠামো সংস্কারে ডাকা হল টেন্ডার। ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষের টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায় যে, চলতি বছর বর্ষায় ২ বার মেট্রোর ট্র্যাকে জল ঢুকে গেছিল। বন্ধ রাখতে হয় পরিষেবা। গত বছরও পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে জল ঢুকে যায়। চার দশকের পুরনো মেট্রোর পরিকাঠামো কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে সম্প্রতি সমীক্ষা করায় মেট্রো রেল। সমীক্ষা করেছে Rail India Technical and Economic Service বা রাইটস। সমীক্ষার পর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের হাতে রিপোর্ট তুলে দিয়েছে রাইটস। আর তাতেই উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। শুধু নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনেই নয়, দেখা গেছে, কলকাতার গোটা মেট্রো নেটওয়ার্কেই নানান জায়গায় রয়েছে পরিকাঠামোগত ত্রুটি। একাধিক জায়গায় মেট্রো লাইনে সমস্যা দেখা গেছে। এমনকী 'ট্র্যাক বেড', অর্থাৎ যার ওপর লাইন পাতা থাকে, সেখানেও ধরা পড়েছে ত্রুটি। আর কোথায় কী ত্রুটি রয়েছে, তা জানতে রাইটস-কে দিয়ে সমীক্ষা করায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তা রেল বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর রেল বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি টেন্ডার ডেকেছে মেট্রো রেল।