অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: পিলারে ফাটলের জেরে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত চলছে না মেট্রো। তার আগে ব্রিজি স্টেশনই এখন শেষ স্টেশন। আর সেখান থেকে মেট্রো ঘোরাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। নির্দিষ্ট সময় মেনে চালানো যাচ্ছে না মেট্রো। ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। 

আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। এর জেরে প্রতিদিন ভুগতে হচ্ছে অসংখ্য় নিত্যযাত্রীকে। আপাতত কবি সুভাষের আগের স্টেশন ব্রিজি অর্থাৎ শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলছে মেট্রো। কিন্তু, প্রান্তিক স্টেশন হিসেবে ব্রিজিকে ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ, কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনটিকে প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। তার আগের শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনটিকে প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে ব্যবহার করার পরিকাঠামো নেই। অথচ, এখন পরিস্থিতির চাপে সেই শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন থেকেই মেট্রো ঘোরাতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় এই প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে মেট্রো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়তে দেরি হওয়ায় বাকি সব স্টেশনেই দেরিতে ঢুকছে মেট্রো। ব্যাপক প্রভাব পড়ছে যাত্রী পরিষেবায়, বাড়ছে ভিড়। মাঝে মাঝে বাতিলও করতে হচ্ছে মেট্রো।  আর এই ভোগান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণে নজর নেই। ওরা নজর দিলে এত সমস্যা হত না। আমরা তো সাধ্যমতো বাস চালাচ্ছি নিউ গড়িয়া থেকে। কিন্তু সেটা তো মেট্রোর বিকল্প হতে পারে না।'' মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ব্রিজি থেকেই যাতে মেট্রো সরাসরি ঘোরানো যায়, তার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। তবে তার জন্য কতদিন সময় লাগবে তার উত্তর অধরাই। 

অন্যদিকে, গতমাস থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে জোকা-ধর্মতলা মেট্রো প্রকল্পের কাজ। বৃহস্পতিবার খিদিরপুর থেকে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে ২টি টানেল বোরিং মেশিন। তবে, বউবাজারে সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে যে বিপর্যয় ঘটেছিল তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরও সতর্ক মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তামিলনাড়ু থেকে আনা হয়েছে দুর্গা আর দিব্যা নামে ২টি টানেল বোরিং মেশিন। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই দুটি মেশিনের সামনের অংশে থাকছে বিশেষ ধরনের সিল। মেশিনের মুখে আছে রবারের মতো আস্তরণ। বাইরে থেকে মেশিনে ঢুকতে পারবে না কাদামাটি। মাটির প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘনঘন পাল্টাবে যন্ত্রের আস্তরণ। এছা়ড়া, টিবিএম-এর পিছনে থাকছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পাম্প। ফলে, কোনওভাবে, বাইরের জল মেশিনের ভিতরে ঢুকতে পারবে না। যেসব জায়গায়, টানেল বোরিং মেশিন কাজ করবে, সেখানে বিশেষ ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে। ন্যূনতম কোনও সমস্যা হলেই তা ধরা পড়বে এই ক্যামেরায়।