নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। মেরামতের জন্য প্রায় এক বছর বন্ধ থাকবে এই মেট্রো স্টেশন। আচমকা এভাবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ব্রেক জার্নি করে, বেশি খরচ করে পৌঁছতে হচ্ছিল, শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য ব্রিজি এলাকার এই মেট্রো স্টেশনই এখন অন্তিম স্টেশন।
যাত্রীদের সুবিধার্থে নিউ গড়িয়া মেট্রো থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত সরকার যে বাস চালাবে সেকথা আগেই জানা গিয়েছিল। কথা মতো সোমবারই চালু হল সেই বাস পরিষেবা। নিত্যযাত্রীরা বলছেন, অফিস যাওয়ার পথে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। বারবার ব্রেক জার্নি করলে, সময় অনেক বেশি লাগছিল এই কয়েকদিন। খরচও হচ্ছিল বেশি। তবে এই বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় সময়ও তুলনায় কম লাগছে। খরচও বেঁচেছে। একটু ঘুরপথে বাস গেলেও ব্রেক জার্নির থেকে সময় কমই লাগছে। আর ব্রেক জার্নিতে যেহেতু খরচ বেশি হয়, সেটাও কমে যাবে এই বাস পরিষেবার সুবিধা ব্যবহার করলে।
নিউ গড়িয়া মেট্রো অর্থাৎ কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে ব্রিজি এলাকার শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু হয়েছে সোমবার থেকে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে বাস। ২০ মিনিট অন্তর চালু থাকছে পরিষেবা। ভাড়া ১০ টাকা। যাত্রীদের সুবিধার্থেই পশ্চিমবং পরিবহণ নিগম (WBTC) এই বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করেছে।
নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন অর্থাৎ কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের ভিতর প্ল্যাটফর্মে ফাটল দেখা গিয়েছে। তাছাড়া বসে গিয়েছে মেট্রোর লাইন। যাত্রী সুরক্ষায় তাই বন্ধ করা হয়েছে এই মেট্রো স্টেশন। পুনর্নির্মাণ করা হবে এই মেট্রো স্টেশন। আর তাই প্রায় এক বছর বন্ধ থাকতে চলেছে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, মেট্রো স্টেশন থেকে শেড খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক কতদিন লাগবে কাজ শেষ করতে তা নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে বছর খানেক যে সময় লাগতে চলেছে তা মোটামুটি স্পষ্ট। নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনের উপরের ছাউনি খুলে ফেলার পাশাপাশি স্টেশন ভেঙে ফেলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। করছে। ২০১০-এর অক্টোবরে তৈরি হয় নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই বেহাল দশা হয়েছে এই মেট্রো স্টেশনের।