সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পরিদর্শনের পরেই সামনে এসেছে চরম অব্যবস্থার ছবি। তারপরেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে কলকাতার পাভলভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার আরও বড় দুর্নীতির অভিযোগ পাভলভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।


নতুন কী অভিযোগ:
স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি দলের রিপোর্টে (Report) উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালে যে আবাসিকরা রয়েছেন তাঁদের জন্য যা খরচ করা হয়েছে তাতে কোনওরকম নজরদারিই নেই। নজরদারি ছাড়াই বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু কীভাবে বিল পাস হয়েছে? এখানেই উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। ঠিকাদারের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই আঁতাতের জন্য পাস হয়ে যায় বিল।


রোগী পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ: 
গত এপ্রিল ও মে মাসে দু’দফায় পাভলভ হাসপাতাল (pavlov hospital) পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ, রোগীদের খাবারের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় রোগীদের, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও হাসপাতালে নেই কোনও ডায়েট কমিটি। বছরে ১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয় আবাসিকদের পোশাকের জন্য। তবু ছেঁড়া পোশাক পরিয়ে রাখা হয় আবাসিক রোগীদের। এমনকি পাভলভ হাসপাতালে রোগীদের অন্তর্বাসও দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ।  


আউটডোরও 'তথৈবচ':
হাসপাতালের (Hospital) আউটডোরের অবস্থাও দুর্বিষহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। হাসপাতালের আউটডোরের জানলা-দরজা ভাঙা, শৌচাগারও (Toilet) ব্যবহারের অযোগ্য। সাধারণ চিকিৎসা সরঞ্জামও নেই হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় ওষুধও মেলে না বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লিখিত জবাব চেয়ে ৭ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল সুপারকে। আগেই অভিযোগ উঠেছে, পাভলভে মহিলা আবাসিকদের ২টি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে। অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁরা রয়েছেন। পাভলভের আবাসিকদের গায়ে ক্ষতচিহ্ন, ঘা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে।       


আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি-তে ফের বিদ্রোহের সুর, অনুগামীদের বসে যাওয়ার নির্দেশ দুধকুমারের, পাশে পেলেন অনুপমকে