হিন্দোল দে ও সমীরণ পাল, কলকাতা: উৎকণ্ঠার প্রহর কাটল অবশেষে। কান্না থামল পরিবারের লোকজনের। খোঁজ মিলল হিমাচলে ট্রেকিংয়ে (Himachal Trekking) যাওয়া বাংলার চার অভিযাত্রীর (West Bengal Mountain Climbers)। তাঁরা একটি ক্যাম্পে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় পর্বত আরোহন সংস্থার গভর্নিং কাউন্সিল। আবহাওয়া ঠিক থাকলে চার জনকে মালানায় নিয়ে যাওয়া হবে (Kolkata News)।
বায়ুসেনার হেলিকপ্টাপ নামিয়ে উদ্ধার করা হল নিখোঁজ অভিযাত্রীদের
রুদ্ধশ্বাস ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পর খোঁজ মিলল হিমাচলে ট্রেকিংয়ে যাওয়া বাংলার ওই চার অভিযাত্রীর। ভারতীয় পর্বত আরোহন সংস্থার গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য দেবরাজ দত্ত জানিয়েছেন, রবিবার সকালে ঘুমটা থেকে রওনা দেয় এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার। সঙ্গে ছিলেন অভিযাত্রী দলেরই এক সদস্য। দীর্ঘ খোঁজাখুজির পর ক্যাম্প ওয়ানে খোঁজ মেলে ওই চার অভিযাত্রীর। উদ্ধারকারী দলটি ওই চার জনকে বেস ক্যাম্পে নামিয়ে আনে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে মালানায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের।
শৃঙ্গজয়ের পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ
গত ১৮ অগাস্ট কলকাতা থেকে হিমাচল প্রদেশের কুলুর উদ্দেশে রওনা হন সাত জন পর্বতারোহী। গন্তব্য ছিল ৫ হাজার ৪৭০ মিটার উঁচু আলি রতনি (Ratni) টিব্বা। গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছন তাঁরা। সামিট ক্যাম্পে বিশ্রাম নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর ফের শুরু হয় শৃঙ্গ জয়ের যাত্রা।
কিন্তু এর পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, গড়পার রোডের বাসিন্দা অভিজিৎ বণিক, যাদবপুরের রিজেন্ট এস্টেটের বাসিন্দা দেবাশিস দাস, এনায়েতনগরের বাসিন্দা বিনয় দাস এবং উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরের বাসিন্দা চিন্ময় মণ্ডলের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে উদ্ধারকার্যের নেতৃত্ব দেয় হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাতেই সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার খবর সামনে আসার পর এবিপি আনন্দের তরফে চিন্ময়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর ভাই হিরন্ময় মণ্ডল সেই সময় জানিয়েছিলেন যে, ১৬ সেপ্টেম্বর সকলের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দাদা নিখোঁজ বলে খবর পান। তাতে বাড়ির লোকজন অস্থির হয়ে ওঠেন। কান্নাকাটি শুরু করে দেন তাঁদের মা। কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়েও ফেলেন। তবে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁরা। এর পরই রবিবার চিন্ময় এবং তাঁর সঙ্গীদের খোঁজ মেলে।