হিন্দোল দে, কলকাতা: এবার খাস কলকাতায় ভরা বাজারে সোনার দোকানে লুঠের চেষ্টা! মুকুন্দপুরে সোনার দোকানে (Gold Shop) লুঠের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে দোকানের মালিকের গলায় কোপ দিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। কোনওমত প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত হন সেই দোকান মালিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুকুন্দপুরের হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত দোকান মালিক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর কেউ এই ঘটনায় জড়িয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে খাস কলকাতায় এমন ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে সাড়ে এগারোটা থেকে পৌনে বারোটা নাগাদ মুুকুন্দপুরে গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সে আচমকাই দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। সেই সময় দোকানে বসে ছিলেন মালিক সঞ্জয় কুমার সরকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজন ব্যক্তি রীতিমত ক্রেতা পরিচয় দিয়ে দোকানে প্রবেশ করেছিল। এরপরই সেই দুজনের মধ্যে একজন দোকানের মালিকের গলার চেনটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এরপরই দোকানের ভেতরে সোনার গয়নাগুলো লুঠের চেষ্টা করতে থাকে। সঞ্জয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় সেই সময়। আচমকাই এক দুষ্কৃতী এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয় সঞ্জয়ের গলায়। এরইমধ্যে চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষরা দৌড়ে এসে সেই দুই দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে। পুলিশ এসে দুষ্কৃতী ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হানা চলতি বছরে এই প্রথম নয়, এর আগে মালদার ইংরেজবাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগের। পঞ্চায়েত অফিসের নাকের ডগায় অবাধে চলে লুঠপাট। ভেঙে ফেলা হয়েছিল দোকানের একাধিক তালা। কাটা হয়েছিল দোকানের শাটার। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছিল ঘটনার রাতে কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরে গ্যাস কাটার দিয়ে দোকানের শাটার কেটে ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। প্রায় ২ লক্ষ টাকার সোনাদানা চম্পট দেওয়ার অভিযোগ তুলছিলেন তাপস সাহা নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। যাওয়ার সময় CC ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী, তাপস সাহা বলেছিলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে যায়, সকালে পাশের দোকানদার বলে আমার দোকানে নাকি চুরি হয়ে গেছে। হার্ড ডিস্ক নিয়ে চলে গেছে। কয়েক মাস কাটতে কাটতেই ফের একবার সোনা দোকানে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা।