সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলের বুকিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ। কাঠগড়ায় পুরসভারই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কালীঘাট থানায়। পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে গুজরাতি দম্পতির মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 


এবার ওই এলাকায় কমিউনিটি হল বুকিংকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ নম্বর কালীঘাট রোডের জয়হিন্দ ভবন। ২০১৫ সালের ৪ মার্চ এই কমিউনিটি হলের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


শুরু থেকেই এই কমিউনিটি হলের বুকিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মী অসিত সাহা। পুরসভার কমিউনিটি হলের রেজিস্টার বলছে, বুকিং রয়েছে ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিযোগ, যাঁরা বুকিং করেছেন, তাঁরা বুকিং মানি জমা দিলেও সেই টাকা জমা পড়েনি সংশ্লিষ্ট ৯ নম্বর বরো অফিসে। 


অভিযোগকারীদের দাবি, ড্রাফটের ঝামেলা এড়াতে নগদে টাকা দিতে বলতেন বুকিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অসিত সাহা। টাকা দেওয়ার পর রসিদও দেওয়া হত। অভিযোগকারী অনুপম চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ২৮ জুন, পারিবারিক অনুষ্ঠান ২ ফেব্রুয়ারি টাকা দিয়ে বুকিং। টাকার পরিবর্তে রসিদ দেওয়া হয়। শনিবার ফোন পান। বলা হয় আপনার টাকা জমা দেওয়া হয়নি। আপনি বলবেন টাকা দেননি। খোঁজ নিতে জানতে পারি বুকিং হয়নি।


পুরসভা সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বুকিং সংক্রান্ত অভিযোগ উঠছিল। তারই তদন্তে কমিউনিটি হলের রেজিস্টারটি বাজেয়াপ্ত করলে, অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপরই ৯ নম্বর বরোর সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় কালীঘাট থানায়।


কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ২০১৬ থেকেই কাজ করছেন। আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। থানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাঁরা বুকিং করেছিলেন, অনেকেরই সামনে অনুষ্ঠান। শেষ মুহূর্তে হল না পেলে কোথায় যাবেন? যাঁরা হল বুক করেছেন, তাঁরা পড়েছে আতান্তরে।