কলকাতা : উত্তর কলকাতার(North Kolkata) বিস্তীর্ণ এলাকার ভাগ্য নির্ধারণ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Rabindrabharati University) গণনাকেন্দ্রে। বরো নম্বর ১-তে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এবং বরো ২-এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ এবং ১৫ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গণনা হবে এখানে। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থিকথিক করছে পুলিশ। রাখা হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। টালা, কাশীপুর, সিঁথি-সহ উত্তর কলকাতার বিভিন্ন থানা থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবেই গণনাকেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার অনুমতি মিলছে।


কড়া নিরাপত্তায় (security) মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুমগুলি। হাইকোর্টের নির্দেশে স্ট্রং রুম এবং গণনাকেন্দ্রেও রয়েছে সিসি ক্যামেরার (cctv) নজরদারি।


পরীক্ষা শেষ। এবার অপেক্ষা রেজাল্ট আউটের। কার মুখে হাসি ফুটবে? আশাভঙ্গ হবে কার? উত্তর জানা যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। আজ কলকাতা পুরসভার (kmc) ফলপ্রকাশ। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুমগুলি।


স্ট্রং রুম থেকে গণনাকেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জায়গাতেই রয়েছে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে হবে ভোটগণনা।


আরও পড়ুন ; কলকাতা পুরসভা কার? ৮টা থেকে শুরু ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা


মোট ১৩ থেকে ১৬ দফায় ভোট গণনা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রেই ৭টি টেবিলে হবে গণনা। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপাল রিটার্নিং অফিসার। বর্তমানে ইভিএমগুলি রয়েছে একাধিক স্ট্রং রুমে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন স্ট্রং রুম হয়েছে। তেমনই এখানে ভোট গণনা হবে উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের।  নেতাজি ইন্ডোরের পাশে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম। 


বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দেয় কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি উত্তেজনাপ্রবণ বুথ ছিল। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮৬।