কলকাতা : ভোটের দিন হাতেনাতে ভুয়ো ভোটার ধরেছিলেন। ছড়িয়েছিল উত্তেজনা। সেই ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডেই এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। অন্যদিকে ভোটপর্ব শুরু হতে না হতেই তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতও প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে।


ভোটের দিন বিবাদী বাগ এলাকায় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়। মেলে ভুয়ো ভোটারের খোঁজ। হাতেনাতে ধরে ফেলেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক (Santosh Pathak)। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তারা পালিয়ে যায়। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীরা ভিড় জমান। কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 


আরও পড়ুন ; কলকাতা পুরভোট গণনার শুরু, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগোচ্ছে তৃণমূল



অন্যদিকে, কলকাতা পুরভোটে সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পরিস্থিতি। ৫ বারের কাউন্সিলর। পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র। ভোট পর্ব শুরু হতে না হতেই কলকাতার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


এদিকে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে অতীন ঘোষ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে পরেশ পাল, ২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি সেন, ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে দেবাশিস কুমার,  ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে মালা রায়। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনিন্দ্যকিশোর রাউত, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ, ১৩৭ ও ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী, মোট ৩৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।                              


কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা শুরু হয়েছে।  রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে সাড়ে ৯০০ প্রার্থীর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছে। ১১ থেকে ১৬ দফায় ভোট গণনা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ৭-১০টি টেবলে গণনা। ভোট গণনার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার।