অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা : যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে জঞ্জাল (Garbage)! রাজারহাটে (Rajarhat) এমনই এক প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। বরাত দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদের এক কোম্পানিকে।
জঞ্জাল থেকে নির্মাণের উপাদান
জঞ্জালই হয়ে উঠবে নির্মাণের উপাদান। এমনই এক প্রজেক্ট চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। রাজারহাটে রয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি জমি। সেই ২০ একরের মধ্যে, ৫ একর জায়গায় একটি প্রকল্প চালু করছে KMC। পোশাকি নাম construction & Demolition Materials Recycling Project। অর্থাত্, বাড়ি তৈরির সময় যে কংক্রিটের জঞ্জাল বের হয়, তা-ই আবার পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হবে। হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। যাঁরা কংক্রিটের জঞ্জালকে টুকরো টুকরো করে, ফের তা দিয়ে তৈরি করবে, এক ধরণের বালি, পেভার ব্লক।
কাজ শুরু
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রাশার মেশিন বসে গেছে। কাজও শুরু করে দিয়েছে সেগুলি। এক নির্মাণ ভেঙে আবর্জনা। আবার তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী। যন্ত্রের গুণে আবার ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে এত্তা জঞ্জাল।
আরও পড়ুন- অভিযোগ উঠলেই একতরফা শাস্তির মুখে, বিক্ষোভ অ্যাপ নির্ভর ক্যাব চালকদের
গত এপ্রিলে কলকাতা পুরসভার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র তরজা হয়েছিল। ব্যয় সঙ্কোচে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) একাধিক পদক্ষেপ করেছে। অথচ সেই পুরসভাই প্রত্যেক মেয়র পারিষদকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘাটতি বাজেটের এই সময়ে পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের (TMC) যুক্তি, ট্যাব দিলে কালি কাগজের খরচ কমবে।
কলকাতা পুরসভার দুই রূপ: একহাত ভাঁড়ে মা ভবানী! অন্যহাত গৌরী সেন! কলকাতা পুরসভার দুই রূপ। একদিনে যখন কলকাতা পুরসভা ব্যয় সঙ্কোচের জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে খরচে রাশ টেনেছে। তখন সেই পুরসভাই আবার প্রত্যেক মেয়র পারিষদকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাড়তি খরচে বিতর্ক: পুরসভা যখন আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে, তখন এই বাড়তি খরচ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের সংখ্যা ১৪। অর্থাত্, প্রত্যেককে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টাব দিলে খরচ হবে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বেহিসেবী খরচের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
সরব বিরোধীরা: কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত। কর্মচারীদের পেনশন দিচ্ছে না। ২৮ থেকে ৩০ হাজার পদ খালি। এই ট্যাব দিয়ে মেয়র পারিষদদের গতিবিধি চালানোর একটা পরিকল্পনা মাত্র। স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার পর কেউ কি ট্যাব ব্যবহার করেন? রাজ্যের মন্ত্রীরা পর্যন্ত ট্যাব ব্যবহার করেন না।“ সিপিএম প্রাক্তন কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “এই বিলাসীতার কারণ কী?’’