কলকাতা: ডেঙ্গি মোকাবিলায় আপসহীন কলকাতা পুরসভা। নিয়ম ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল লাইব্রেরি ও কোল ইন্ডিয়া-কে জরিমানা করা হয়েছে। নোটিস দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে। ডেঙ্গি নিয়ে তৎপরতার দাবি ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের। ডেপুটি মেয়রের দাবি, কলকাতার হাসপাতালে যে সমস্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলেই অন্য জেলার বাসিন্দা। কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি থেকে লার্ভা মিলেছে বলে দাবি ডেপুটি মেয়রের। রাজ্যে ফের ডেঙ্গির দাপট নিয়ে সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন অতীন ঘোষ। 


রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি উদ্বেগ: ১২দিনে ৭ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। গতরাতে আবারও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এম আর বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী মহিলার। থাকতেন কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ড, ঠাকুরপুকুর এলাকায়। এই নিয়ে চলতি মাসেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হল। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলিতে চোখ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। শুক্রবার MR বাঙুর হাসপাতালে মৃত্য়ু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত, বছর ৪৫-এর মহিলার। নাম, অণিমা সর্দার। ভাড়া থাকতেন কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন বিদ্য়াসাগর হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এম আর বাঙুরে রেফার করা হয়। ভর্তি ছিলেন সিসিইউয়ে। শুক্রবার সব শেষ। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে।


ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কোন কোন এলাকায়? স্বাস্থ্য় দফতরের পরিসংখ্য়ান বলছে, বেশ কিছু ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া হু হু করে বাড়ছে। তার মধ্য়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত, আমডাঙা, বসিরহাট স্বাস্থ্য় জেলার বাদুড়িয়া,হুগলির শ্রীরামপুর,নদিয়ার রানাঘাট ও মুর্শিদাবাদের একটি ব্লক। এ ছাড়াও, হাওড়া শহরে, উল্লেখযোগ্য়ভাবে ম্য়ালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য় দফতরের পরিসংখ্য়ানে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিসংখ্য়ান বলছে, এই সপ্তাহে রাজ্য়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৫ জন। এর মধ্য়ে সবথেকে বেশি আক্রান্তের সংখ্য়া নদিয়ায়। সেখানে মোট ২৯৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে।  রানাঘাট পুরসভার বিভিন্ন এলাকা এবং রানাঘাটের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ১৪৩ জন এবং হুগলিতে ৪৩ জন। এই তিন জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। এই পরিস্থিতিতে, জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছে প্রশাসন।