কলকাতা: লেক কালীবাড়িতে সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo 2022)। এবার এই পুজো ১৪ বছরে পা দিল। সকাল থেকে পুষ্পাঞ্জলি, হাতে খড়ি। সরস্বতী পুজোয় লেক কালীবাড়িতে (Lake Kalibari) গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী একসঙ্গে পূজিতা হন। এদিন বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য।
প্রথা মেনে বেলুড় মঠের সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্রে আজ মহাসমারোহে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) হচ্ছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের (Ramakrishna Math and Ramakrishna Mission) যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেলুড় এবং সারা দেশ ও বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। সেই সব কয়েকটি কেন্দ্রেই আজ বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে সরস্বতী দেবীর আরাধনা চলছে। বেলুড় মঠ লাগোয়া বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যামন্দির মহাবিদ্যালয়, জনশিক্ষা মন্দির, বিএড কলেজ সহ প্রায় সাতটি কেন্দ্রে পূজা হচ্ছে। বেলুড় মঠের (Belur Math) রীতি অনুযায়ী পূজা করেন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরাই। সকাল থেকেই সমস্ত কেন্দ্রে ভক্তি সহকারে আরাধনা হচ্ছে বাগদেবীর। দেবীর সংকল্প আবাহন আরাধনা বন্দনা সঙ্গীত হচ্ছে। পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণও হয়েছে। এরই মাঝে ছাত্রছাত্রী এবং নবাগতদের অঞ্জলি দেওয়া হয়।
অপরদিকে, একই দিনে দুই উৎসব। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। সেই সঙ্গে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী৷ দিল্লির (Delhi) কর্তব্য পথ থেকে রেড রোড য়খন কুচকাওয়াজে মুখর, তখন, বাংলার ঘরে ঘরে বাগ্ দেবীর আরাধনা। পঞ্চমীতে বিদ্যার আরাধনা পাড়ায়, সকুলে, কলেজে পডুয়ারা ব্রতী সরস্বতী বন্দনায়। এদিন তাই খুদেদের হাতেখড়ি। গুরুমশাইয়ের হাত ধরে লেখা শুরু, শেখা শুরু আমরি বাংলা ভাষার অ আ ক খ। সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় বাংলা ভাষা শেখার জন্য হাতেখড়ি হল রাজ্যপালেরও। ব্রহ্মার মানসকন্যা সরস্বতী৷ এক হাতে তাঁর বীণা, অন্যহাতে পুস্তক৷ তাই পুস্তকের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক সকলেই ব্যস্ত তাঁর আরাধনায়৷ বিদ্যার্জন সহজ না হলেও দেবী কিন্তু অল্পেই সন্তুষ্ট৷ সামান্য ফুল-মিষ্টি-বেলপাতা আর দোয়াত-কলম৷ মন্ত্রতন্ত্র, নিয়মকাননুও তেমন কিছু নয়৷
আরও পড়ুন, 'বিচারপতির টিপ্পনি কাটা ঠিক নয়', ‘এপাং-ওপাং-ঝপাং’ কটাক্ষের পাল্টা গ্রন্থাগার মন্ত্রী
সরস্বতী কিন্তু কল্যাবিদ্যারও দেবী৷ তাই শিল্প সাধনা যাঁরা করেন, তাঁরাও আজ পুজায় ব্যস্ত৷ বাগদেবী শ্বেতশুভ্র৷ কিন্তু বাঙালি তাকে নিজের মনের রঙ মিশিয়ে বসন্তের শুরুতে করেছে বাসন্তী বর্ণা৷ তাঁর সঙ্গে রঙ মিলিয়ে সাজে পূজারীণিরাও৷ সকালে ছিল হালকা মিঠে রোদ। বেলা বাড়তেই কঠিন হয়েছে রোদের মুখ৷ তার মধ্যেই পুজোর অর্ঘ্য নিবেদন, আর শাড়ির বাসন্তীতে কুড়িয়ে পাওয়া আবেগ। ভালোলাগার রঙিন একটা দিন৷ তাই এদিন সকাল থেকেই বেশি কলেজ পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরদের ঢল শহরের স্কুলে স্কুলে।