পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতাঃ বাঁশদ্রোণীতে ( Bansdroni) জিম (Gym)করতে গিয়ে তরুণীর রহস্য মৃত্যু (Mysterious Death)।  বছর ১৯-র ওই তরুনীর নাম ঋত্বিকা দাস। তিনি মূলত বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে,  জিম করতে গিয়ে আচমকাই 'বুকে ব্যথা' অনুভব করেন ওই তরুণী।  সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


কী করে মাত্র ১৯ বছরে এভাবে মৃত্যু হল বাঁশদ্রোণীর ঋত্বিকা দাসের ?


কিন্তু কী করে মাত্র ১৯ বছরে এভাবে মৃত্যু হল বাঁশদ্রোণীর ঋত্বিকা দাসের ? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জিম কর্তৃপক্ষ এবং বন্ধুরা জানিয়েছে, এদিন জিম করছিল ঋত্বিকা। জিম করতে করতেই হঠাৎ করে 'বুকে ব্যথা' অনুভব করেন। জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছে জিম করতে গিয়ে আচমকাই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন ঋত্বিকা । নজরে আসে তার জিমের বন্ধুদেরও বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে হাসপাতালে।  চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


ওজন অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল বলে জিমে ভর্তি হয়েছিলেন তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী ঋত্বিকা


আরও পড়ুন,'এক কাপড়ে তুলে আনা উচিত', অনুব্রত ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু


জানা গিয়েছে, তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী ঋত্বিকা দাস। প্রায় তিন মাস আগে তিনি জিমে ভর্তি হয়েছিলেন। কারণ তাঁর ওজন অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ঋত্বিকা ওজন প্রায় ৮৫ কেজির উপরে ছিল। সে কারণেই জিমে যাচ্ছিলেন। এদিনও প্রত্যেকদিনের মতোই আজও জিমে যান সাড়ে ৪টে নাগাদ। এদিন জিমে গিয়েই নাকি এক বান্ধবীকে বলেছিলেন, তার বুকে ব্যথা করছে। জিমে যাওযার পরেই ব্যায়াম শুরু করেন অ্যান্য দিনের মতোই। আৎ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি পড়ে যান। আর পড়ে যেতেই একমুহূর্ত দেরি করা হয়নি। ঋত্বিকাকে তখনই নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অনেকের মন্তব্য হৃদ রোগেই প্রাণ হারিয়েছে ঋত্বিকা।


 এই মৃত্যুর আসল কারণ কী ?


যদিও এই মৃত্যু আসল কারণ কী ? তা ময়নাতদন্ত হলেই প্রকাশ্যে আসবে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগামীকাল বুধবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।  ময়নাতদন্ত করলেই গোটা ঘটনা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে।