কলকাতা: নবম-দশমের পর এবার গ্রুপ ডি (Reqruitment Scam)। চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ৩ হাজার। ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি, কালকের মধ্যেই ২৮২০ জনের চাকরি বাতিল। মূল্যায়নকারী সংস্থার সঙ্গে সার্ভারে থাকা নম্বরের মিল নেই, বলে কোর্টে জানিয়েছে কমিশন। 'কালকের মধ্যেই ২৮২০জনের চাকরি বাতিল', জানিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। আগামীকাল বেলা ১২টার মধ্যে এসএসসিকে ২৮২০জনের তালিকা-সহ হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলফনামা পেশের ৫ মিনিটের মধ্যে আপলোড এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মতো দয়ার সাগর নই: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
নবম-দশমের পর এবার গ্রুপ ডি, নিয়োগে দুর্নীতি মামলা পর্ষদ, আরও চাকরি বাতিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মতো দয়ার সাগর নই। নিয়োগ দুর্নীতিতে কার অদৃশ্য হাত? দেখতে চায় আদালত।' গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় রিপোর্ট না পাওয়ায় হাওড়ার ডিআইকে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে। 'আদালতে না আসলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে আনব', কড়া বার্তা হাইকোর্টের। 'স্কুল পরিদর্শক হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আছেন', জানিয়েছেন আইনজীবী। আদালতে হাজিরা দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। ২৮২০টি বিকৃত ওএমআর শিটের মধ্যে ১৯১১জনের সুপারিশপত্র আছে , জানিয়েছে এসএসসি।
নির্ভয় হোন, ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে : বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরই বেগ পায়। গতবছর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিশেষ করে এই নির্দেশের পরেই মূলত ঝড় ওঠে। বিচারপতি এই নির্দেশে মূলত সাধারণ মানুষের মধ্যে আইনি লড়াইয়ে সফল হওয়ার স্বপ্ন সাকার হয়। বাইশের একেবারে শেষে ততদিনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যও শিরোনামে এসেদগিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ইস্যুতে। আর এমনই এক আবহে, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'নির্ভয় হোন, ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে।' পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মুখ না খোলা নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল তদন্তকারী অফিসারদের। বিষয়টিতে সেময় আলোকপাত করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বরাবরের মতোই উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'অকল্পনীয় নির্দেশ দেব, এরা সরকারকে সমস্যায় ফেলছে, কমিশনরে অফিসে ভুরিভুরি দুর্নীতি হয়েছে।'
অপরদিকে, গতবছর সেসময়, ১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল কমিশন। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছেন? জানতে চান সেময় বিচারপতি। ‘রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে, এটা বিস্ময়কর। রাজ্যের উচিত এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতকে সাহায্য করা।' এমনটাই বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পেলেও তা বাতিলের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন?' প্রশ্ন তোলেন সেসময় বিচারপতি।