রঞ্জিত সাউ, প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: সল্টলেকের বৈশাখী বাজারে দুর্ঘটনা (Saltlake Baishakhi)। দমকা হাওয়ায় মাছের বাজারে প্রায় ২০টি দোকানের অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ভেঙে পড়ে। ৬ জন আহত হন। তাঁদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার সময় আরও অনেকে বাজারে ছিলেন। ফলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজার কমিটির কাছে বারবার জানানো সত্ত্বেও মাছের বাজারের ছাউনি সারানো হয়নি। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হাওয়ার দাপটে দুর্বল ছাউনিগুলো ভেঙে পড়ে। প্রসঙ্গত, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কাল থেকেই চার জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতা ও হাওড়ায় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৫০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।আবহাওয়া দফতর বলছে, সিত্রাং এবং অমাবস্যার কটালের জেরে, সমুদ্রে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য আগাম সতর্ক উপকূলের জেলাগুলো। 


বকখালিতে অনেকটাই ফাঁকা বকখালি সমুদ্র সৈকত। গুটিকয়েক পর্যটকের দেখা মিললেও তাঁদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। সমুদ্র কিছুটা অশান্ত। আকাশ মেঘলা। ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তরফে মাইকে প্রচার চলছে। সমুদ্রের ধারে দোকানপাটও বন্ধ। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিঘায় সকাল থেকে দিঘায় মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা নিষেধ। মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। সকাল থেকে দিঘায় মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা নিষেধ। মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-কে।


আরও পড়ুন, ডাকাতদের হাত ধরে পুজোর শুরু, কাটোয়ার খেপি মায়ের গায়ে থাকে কয়েক কোটি টাকার গয়না


হলদিয়াছ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে হলদিয়ায়।হলদি নদীতে জলস্তর বাড়ছে। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে বৃষ্টি। হলদি নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাইকে প্রচার চালাচ্ছে এনডিআরএফ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছে হলদিয়া-নন্দীগ্রাম ফেরি চলাচল। নন্দীগ্রাম-তেরোপেখিয়া ফেরি চলাচলও আজ ও আগামীকাল বন্ধ। আবহাওয়ার উন্নতি হলে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ফের জলপথ পরিবহণ চালু হবে।