কলকাতাঃ বগটুই গণহত্যা মামলায় (Bogtui Violence) আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। আজই হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, বগটুই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে ধৃতদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য মিলেছে।
প্রসঙ্গত, বগটুইগণহত্যা মামলায় রাজ্যে জল গড়িয়েছে বিস্তর। প্রথমে এই মামলায় রাজ্যের গঠন করা সিটের হাচে দায়িত্ব এলেও, পরে হাইকোর্টের নির্দেশে, এনিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বগটুই গণহত্যা মামলায় রাজ্যে সিট গঠনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁদ তৃণমূলের আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনিই ছিলেন এই মামলায় প্রথম ধৃত ব্যাক্তি। কিন্তু এই ঘটনায় বিজেপি অভিযোগ তোলে, 'চুনোপুটিদের গ্রেফতার করে রাঘববোয়ালদের আড়াল করতে চাইছে তৃণমূলের সরকার।'
প্রসঙ্গত, এবছরে ২১ মার্চ রাতে খুন হয় রামপুরহাট বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর ওই গ্রামে একের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহতও হন অনেকেই। ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করে সরকার। সেই টাকা দিয়েই বাড়ি সারিয়ে ফিরলেন স্বজনহারারা।জুলাই মাসে নিজেদের বাড়িতে ঢোকেন মিহি লাল শেখ, শেখ লাল শেখ, ফটিক শেখ। মিহিলাল বলেন, 'আমরা প্রায় ৪ মাস পর বাড়ি ফিরলাম। এখনও অনেকেই বাড়ি ঠিকঠাক করছে। বাড়ি ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু যাঁদের হারিয়েছি, তাঁরাও এই বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের আর কোনওদিন দেখে পাব না। সেই কষ্ট থেকেই যাচ্ছে।' তাঁর কথায়, 'রাজ্য সরকার যে টাকা দিয়েছিল, তা থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাই সহযোগিতার আবেদন করছি।' শেখ লাল শেখ বলেন, '২১ মার্চ অভিশপ্ত রাত থেকে আমারা বাড়ি ছাড়া ছিলাম। অনেক কষ্টে দিনগুলো কাটিয়েছে। যেহেতু তদন্তের কারণে বাড়ি ফিরতে দেরি হল। তবে মনের মধ্যে এখনও ভয় আছে।'
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ?', 'সিবিআই সেটিং' নিয়ে বিস্ফোরক শান্তনু
এদিকে বগটুই মামলায় ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এবং গেরুয়া শিবির এই ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করেছে ঘাসফুল শিবিরকে। এবং এই মামলায় প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের বলা কথা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। ওই দিন ঘটনার সময় স্থানীয় থানা কী করছিল, এনিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। তদন্ত চলাকালীন এই ঘটনার যোগসূত্রে সকলকেই তলব করে পাঠায় সিবিআই।