কলকাতা: আগামীকাল শুভেন্দুর গড়ে অভিষেক, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দু। শনিবার কাঁথিতে, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে অভিষেকের সভা (Abhishek Banerjee)। আগামীকাল শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি আদালতের (Court)। শুভেন্দুর ডায়মন্ডহারবারের সভায় অনুমতি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস মাঠের সভায় অনুমতি আদালতের।


শব্দবিধি মেনে করতে হবে সভা, নির্দেশ আদালতের। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না, নির্দেশে জানালেন বিচারপতি। পুলিশ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে, আদালতে জানালেন মামলাকারীর আইনজীবী। সভার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁথির সভা ঠেকাতে পরিবারকে হেনস্থার পরিকল্পনার অভিযোগে আদালতে যান বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের সভায় গতকালই ছাড়পত্র দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনেই ৩ ডিসেম্বর সভা করার কথা রয়েছে তৃণমূলের (TMC)। সেই সভা নিয়েই বিরুদ্ধ-সুর শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। কাঁথির (Contai) বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে সভা হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেই মামলার রায় দেয় হাইকোর্ট (High Court)। কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত। যদিও বেশ কিছু শর্ত মানতে বলা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পাশাপাশি শব্দবিধি মেনে করতে হবে সভা, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে আগাম হেনস্থার আশঙ্কায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন শিশির-পুত্র। পরিবারকে হেনস্থার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।  পুলিশ সুপার (Police Super) ও ওসিকে বলে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, গণতন্ত্রে কি সভা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া যায়? তবে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করবেন এসপি ও কাঁথি থানার ওসি। দিও এ বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, র‍্যালি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে রাত ৮টার পর কোনও মাইক বাজবে না । পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করবে । কারও সমস্যা করা কোনও সভার উদ্দেশ্য নয়।


আরও পড়ুন, 'মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে ২-৩ বছর লাগবে পর্ষদের', নিয়োগ মামলায় কী বললেন বিচারপতি ?


শনিবার শুভেন্দুর বাড়ির কাছে তৃণমূলের ওই সভায় প্রধান বক্তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক । উল্লেখ্য, বিধানসভার সৌজন্য-পর্ব মিটতেই কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ কুণাল ঘোষের। কুঁজোরও ইচ্ছে হয় চিৎ হয়ে শোওয়ার, আর গামছার শখ হয় ধোপার বাড়ি যাওয়ার। বিজেপি নাকি সরকার গড়বে !। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর বাড়িতে গিয়ে প্রচারের বার্তা।তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা বিরোধী দলনেতার মা ও দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীর কাছে জানতে চাইবেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না। কাঁথির ভবতারিণী মন্দিরের সামনে চা-চক্রে মন্তব্য কুণাল ঘোষের। শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।