হিন্দোল দে, কলকাতা: এবিপি আনন্দর খবরের পর এবার বেআইনি মাটি খাদান (Illegal Soil Mining) বন্ধ করতে সক্রিয় হল প্রশাসন। মঙ্গলবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আনন্দপুর থানার অন্তর্গত মাটি খাদানে যায় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ (Anandapur Police Station)। 


খবরের জেরে তৎপরতা প্রশাসনের: এবিপি আনন্দর খবরের জের। খবর সম্প্রচারের পর, আনন্দপুর থানার অন্তর্গত বাজবরণ তলার বেআইনি মাটি খাদানে গেলেল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ। শনিবার এই মাটি খাদানের খবর প্রথম সামনে এনেছিল এবিপি আনন্দ। আর তারপরই সক্রিয় হল প্রশাসন। মঙ্গলবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে যান ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ।

অভিযোগ, আনন্দপুর থানার অন্তর্গত বাজবরণ তলার এই মাটি খাদান থেকে রাতে মাটি পাচার চলে। আনন্দপুর থানা সূত্রে খবর, কাদের মদতে চলছিল এই কারবার তা খতিয়ে দেখছে তারা। শনিবার এবিপি আনন্দর খবরে দেখানো হয় নলবন কাপাসাইটের মাটি খাদানের ছবিও। সূত্রের দাবি, শনিবারই সেই মাটি খাদানে যায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। মাটি খাদানে আসেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরও। সোনারপুরের খেয়াদায় বালি পাচারের কারবার নিয়েও খবর করেছিল এবিপি আনন্দ। বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে এবিষয়ে জানানো হয়, রাতে তাঁদের নাকা চেকিং চলে বিভিন্ন এলাকায়। নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তদন্ত হবে।


 গত বছর লেদার কমপ্লেক্স থানার তারদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কার্যত পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায়, চুরি হয়ে যায় সিলভার স্যান্ড বা সাদা বালি (Illegal Sand Mining)। ভারী ভারী যন্ত্র দিয়ে, মাটি কেটে স্তুপ করে রাখা হয় বালি। পরে, লরি করে তা পাচার হয় শহর এবং শহরতলিতে। এবিপি আনন্দের ক্যামেরা দেখেই পড়ি-কি মরি করে দৌড়তে শুরু করলেন অবৈধ বালি খাদানের কর্মীরা। কেউ আল টপকে, কেউ আবার, কাদা-মাটি পেরিয়ে পালালেন। আর কর্মীদের পালানো দেখে বেআইনি বালি খাদানের মালিকও দেন দৌড়। শেষ পর্যন্ত গিয়ে লুকোন ঝোপ-জঙ্গলে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: 'বিজেপির সরকার হলে কেউ রেহাই পাবে না' সন্দেশখালি প্রসঙ্গে অমিত শাহ