কলকাতা: চিংড়িঘাটায় (Chingrighata Accident) ফের দুর্ঘটনা।নির্মীয়মাণ মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারল বেপরোয়া গাড়ি।  দুর্ঘটনায় জখম ৪ আরোহী (Seriously Injured)। তাঁদেরকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)। গাড়িচালকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)।  সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল চিংড়িঘাটা। তারপরে আবার কীকরে ফের সেই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 


প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই চিংড়িঘাটায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে মহিলার মৃত্যু হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (Chittaranjan National Medical College) হাসপাতালে। মৃতের নাম খুকু গায়েন। বছর সাতচল্লিশের মহিলা পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) খেজুরির বাসিন্দা। মৃতের ছেলে জানিয়েছেন,  পরীক্ষা দিয়ে মায়ের সঙ্গে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে ফিরছিলেন। চিংড়িঘাটা মোড়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে লাল রঙের একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে।  হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। চিংড়িঘাটায় বেপরোয়া গাড়ি পরপর কয়েকটি গাড়ি ও পথচারীদের ধাক্কা মারে। আহত ৮ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে ৩ জন এসএসকেএম ও একজন পার্ক স্ট্রিটের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। ওই ঘটনায় গাড়ি চালককে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। চিংড়িঘাটায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি ও পথচারীদের ধাক্কা মারে বেপরোয়া গাড়ি। দুই পুলিশ কর্মী-সহ ৮ জন আহত হন। কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। নিক্কো পার্ক থেকে বাইপাসের দিকে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর কয়েকটি গাড়ি ও পথচারীদের ধাক্কা মারে। আহত সিভিক ভলান্টিয়ার ও পথচারীদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ির চালককে আটক করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, আজ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার দিনে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কী কলকাতায় ?


চিংড়িঘাটায় বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডবে এক পুলিশকর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৮ জন আহত হন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসএসকেএমে ভর্তি আহতদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন একের পর এক মানুষ, উল্টে যাওয়া গাড়ির ভিতরে আটকে  যান আরও কয়েকজন। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় বৃহস্পতিবার দুপুরে, এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে চিংড়িঘাটায়। বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডবে এক পুলিশকর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৮ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুপুর একটা নাগাদ একের পর এক সিগন্যাল ভেঙে নিক্কোপার্কের দিক থেকে এই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে বাইপাসের দিকে আসে।  লোহাপুলের সামনে একজন ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করলে, গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা দেয়। এরপর, মূল রাস্তা ছেড়ে গাড়িটি চলে যায় সার্ভিস লেনে। সেখানে এক পথচারীকে ধাক্কা মারার পরে গাড়িটি ফের বাইপাসের ওপর চলে আসে। এরপর, চিংড়িঘাটায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার গার্ডরেল দিয়ে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে গাড়িটি প্রথমে একটি স্কুটারে ধাক্কা মারে। এরপর, আরও একটি গাড়িকে ধাক্কা মারার পর, ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে গাড়িটি থেমে যায়। ধাক্কা মারার সময়, ঘাতক গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, ধাক্কা লাগার পর, সেটি উল্টে যায়।