কলকাতা: সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট (AITC Official Twitter Account) হ্যাক করার অভিযোগ উঠল। ট্যুইটারে নামের জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘যুগ ল্যাবস্’। বদলে গিয়েছে তৃণমূলের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের মূল ছবিটিও। লোগোর জায়গায় লেখা রয়েছে 'Y' । গতকাল রাতে সাইবার হানার পরে তৃণমূলের তরফে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন (Derek O'Brien)। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাকের অভিযোগ আসে। হ্যাকাররা একের পর এক ট্যুইট করতে থাকায় বিষয়টি নজরে আসে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রোফাইলের ছবি পাল্টে কার্টুন ব্যবহার করা হয়। ৪০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের ট্যুইটার হ্যান্ডলের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য ওই ট্যুইটার হ্যান্ডল স্বাভাবিক হয়ে যায়।   কারা হ্যাকিংয়ের (Hack) পিছনে রয়েছে, কেন হ্যাক করা হয়েছিল, সেই সব নিয়ে প্রথমে কিছু জানানো হয়নি প্রশাসনের তরফে। যদিও  এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং  বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়েছিল। দেশের প্রশাসনের শীর্ষস্তরের নেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের টুইটার হ্যান্ডেলে হ্যাকারের কোপ নিয়ে বেড়েছে আশঙ্কা। কারা এর পিছনে রয়েছে, কেন হ্যাক করা হয়? উঠছে এই প্রশ্নগুলি। টুইটার হ্যান্ডেলগুলির নিরাপত্তা ঠিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি নেটিজেনদের।


আরও পড়ুন, বকেয়া DA-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা


জানুয়ারির শুরুতেই একটি তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছ, ২০০ মিলিয়নের বেশি ট্যুইটার ইউজারের ইমেল অ্যাড্রেস (Email Address) হ্যাক করা হয়েছে এবং তা পোস্ট হয়েছে কোনও অনলাইন ফোরামে। একটি সিকিউরিটি রিসার্চ কোম্পানি সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এভাবে ইমেল অ্যাড্রেস হ্যাক হয়ে তা পাবলিক ফোরামে ফাঁস হওয়ার দরুণ ইউজারদের রিয়েল-লাইফ আইডেন্টিটিটি অর্থাৎ বাস্তব জীবনের অনেক তথ্য প্রকাশ্যে এসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সবকিছুই ব্যক্তিগত তথ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার ফলে হ্যাকারদের পক্ষে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক করার বিষয়টা আরও সহজ হয়ে যাবে। এভাবে ২০০ মিলিয়নের বেশি ইউজারের ইমেল অ্যাড্রেস হ্যাক হয়ে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ট্যুইটার ইউজারদের অ্যাকাউন্ট এবার অন্যান্য ওয়েবসাইটেও ফাঁস হয়ে যেতে পারে।