কলকাতা: সকালেই চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল সরকার চাকরি দেবে না, দিলে আদালত দেবে। চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে সম্মান জানালেও, অনুরোধ পুজোয় পরিবারকে সময় দিন।' আর এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ ব্রাত্য বসুর।


এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, 'আদালতের নির্দেশে, এসএসসি ইস্যুতে নিয়মের ব্যতিক্রম আছে কিনা, এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহামান্য আদলতের নির্দেশে এই ধরণের সমস্ত ব্যতিক্রমী নিয়োগ বাতিল করে, তার ফলে যে শূন্য পদ সৃষ্টি হবে, ওয়েটিং প্যানেলের অর্থাৎ অপেক্ষমান মেধা তালিকার ক্রমানুসারে নিয়োগ করার জন্য কমিশন প্রস্তুত আছে।আমাদের সরকার মহামান্য আদালতের মতোই চাইছেন, সমস্ত জটিলতা অত্যন্ত দ্রুত কাটিয়ে, দ্রুত এবং সদর্থক নিষ্পত্তি তাড়াতাড়ি হোক।আন্দোলন চাকরি প্রার্থীদের কাছে অনুরোধ রাখছি, আপনারা দেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। এবং সেই পদ অনুযায়ী আদালতে তথ্য জানাচ্ছে এসএসসি। তাহলে সেই সদিচ্ছার উপর ভরসা রেখে আপনারা , আপনাদের আন্দোলন প্রত্য়াহার করে নিন। বাড়িতে তাঁদের আত্মীয় স্বজনের কাছে ফিরে যান, আসন্ন দুর্গা পুজোয় , পরিবার এবং আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটান।'


প্রসঙ্গত , এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে তলব এবং পার্থ গ্রেফতারের পর এমনিতেই এই প্রতিবাদ আরও দিন দিন জোরালো হয়ে উঠছে। এদিকে এহেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বামেদের চাকরি ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা, এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে প্রতিক্রিয়া দেন সুজন। এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে সরব হন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ' ধর্ণায় বসে আছেন বাংলার ভবিষ্যতের মাস্টার মশাইয়েরা। যাদের পরিচয় হবার কথা ছিল মাস্টারমশায়, তাঁরা এখন রাস্তায় বসে আছে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না।  অনুব্রত-র টাকা, তোমাদের বঞ্চনার টাকা। তোমরা যোগ্যতা টানা এই  লড়াইটা পালন করে যাচ্ছ।আমি তোমাদের স্যালুট জানাই। আমাদের সমাজের যারা বড়ো, যারা সমাজ চালাচ্ছে, তাঁদের অপরাধের কথাটা তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আসাটাই মূল উদ্দেশ্য।'


আরও পড়ুন, ' মুখ্যমন্ত্রীও জেলে থাকতে পারেন', দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত


অপরদিকে, এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থালা বাজিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৪-য় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়। ২০১৬-য় ফলাফল প্রকাশের পর, ২০১৮-য় প্যানেল ছাড়াই পনেরোশোর মতো নিয়োগ হয়। প্যানেলে স্বচ্ছতা ও অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা।