কলকাতা: রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে রেখে  সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,'ডিসেম্বরেই সরকার পড়তে পারে। ' মূলত, তাঁর যুক্তি, ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারকাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী যোগ প্রকাশ্যে এসেছে।


প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।  রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির মামলায় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। জেল থেকে তেমন কেউ ছাড়া পাননি। অধিকাংশই এখনও জেলেই, বলে দাবি সুকান্ত-র।  এহেন পরিস্থিতিতেই, 'জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও ' বিস্ফোরক দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই যদি জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার ? প্রশ্ন তুলেই , তিনি বলেন 'সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।'


গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিজেপি প্রাক-পুজো সম্মেলনে মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে রেখেও রাজ্যকে তোপ দাগেন সুকান্ত মজুমদার।  সার্কিট হাউজ ইস্যু উঠতেই শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য। সভাপতি ।তিনি বলেন,  মিঠুন দা তো শুধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব নন, তাই যারা তাঁকে ত্যাগ করতে চান, আমার মনে হয়, তারা বাংলা , বাঙালির কালচারকে হয়তো বোঝেন না, হয়তো জানেন না। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেই বলছি, আমি আগে ছোটবেলায়, মিঠুন চক্রবর্তী ছবি বলতে কি..আগে ওই পোস্টকার্ড সাইজের ছবি কিনতাম। মিঠুন চক্রবর্তী মানেই বাঙালির আবেগ। আমার মনে হয়, তৃণমূলের ক্ষেত্রেও সেই একই আবেগ কাজ করে।'


আরও পড়ুন, তৃণমূল সরকার চাকরি দেবে না, দিলে আদালত দেবে : দিলীপ ঘোষ


অপরদিকে, অমিত শাহ না আসলে সল্টলেকে ইজেডসিসি-তে বিজেপির পুজো উদ্বোধন করতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবারই শহরে পৌঁছেছেন তিনি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে জনসংযোগের হাতিয়ার ‘বাঙালি বাবু’  ইজেডসিসি-র পাশাপাশি এবার অমিত শাহকে দিয়ে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজো উদ্বোধন করানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। এবার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’। আর, সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজোর থিম ‘রামমন্দির’! সূত্রের খবর, এই পুজোগুলোর উদ্বোধনও অমিত শাহকে দিয়ে করানোর ইচ্ছা আছে বঙ্গ বিজেপি’র। জুলাইতেও কলকাতায় পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী । সুকান্তর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে সন্ধেয় রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতরেও যান। সেখানে সুকান্তর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিজেপি-র সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করবেন। দল যে নির্দেশ দেবে, যে দায়িত্ব দেবে পালন করবেন নিষ্ঠা ভরে। তাঁকে কী দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, যদিও তা  খোলসা করেননি মিঠুন চক্রবর্তী।