কলকাতাঃ 'মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জমানা শেষ। আদালতের সঙ্গে চালাকি করবেন না, হয় মামলা প্রত্যাহার করুন, নয়তো বিশাল অঙ্কের জরিমানা।দরকার হলে আলাদা মামলা করুন, এই মামলাকে বিলম্বিত করবেন না। মামলাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করবেন না, কেন করছেন আমি জানি', প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টেট পাস এবং প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের আইনজীবীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে। বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী-সহ তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। চাকরি থেকে অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে,হাইকোর্টের তরফে। এরপর সামনে এসেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্যু।ইডি-র সিজার লিস্টে উল্লেখ করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মিলেছে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চলছিল, সেদিন একসঙ্গে আরও ১৪টি স্থানে ইডি-র আধিকারিকেরা অভিযান চালান। তার মধ্যেই ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িও। তাঁর বাসস্থান থেকেও বেশ কিছু নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ব্যাঙ্কের নথিপত্রও।
এই বিষয় নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু অন্য সমস্ত প্রশ্নেও যেমন জানা যাচ্ছিল যে তিনি সহযোগিতা করছেন না, এক্ষেত্রেও তাইই হয়। সেই কারণেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মানিক ভট্টাচার্যকেও তলব করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর আসে, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রথমে আলাদা বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথির সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। এরপর প্রয়োজন পড়লে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন, বাঁশদ্রোণীতে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাট এবার সিল করল সিবিআই
যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। ২০১৪-র প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায়, ২০ জুন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতির মামলায়, হাইকোর্টের নির্দেশে মানিককে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।মূলত এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কোনওভাবেই কোনও ইস্যু যাতে মামলার তদন্তের বেগ শ্লথ না হয়ে যায়, সেবিষয়ে কড়া নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই এদিন প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনজীবীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি বিচারপতির।