কলকাতাঃ রবিবার হলেও আজ জাদুঘরে দর্শকের সংখ্যা যথেষ্টই কম। সিআইএসএফ-কাণ্ডের (CISF) পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দর্শকের কাছে আর থাকা যাবে না, বলে জানিয়েছে, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, পার্কস্ট্রিট জাদুঘরে সিআইএসএফ ব্যারাকে গুলিবর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই থমথম গোটা এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই আজ তাই ছুটির দিনেও অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় অনেকটাই কম কলকাতার জাদুঘরে।
সূত্রের খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ ছাড়াও সিআইএসএফ-এর হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্রর নিশানায় ছিলেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার, এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি ও এক কনস্টেবল। সূত্রের খবর, ডিউটি রোস্টার তৈরি করা ছাড়াও কে, কবে ছুটি পাবে, তা ঠিক করতেন রঞ্জিত ও ওই কনস্টেবল। তা মঞ্জুর করতেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষ। গতকাল আগেই বেরিয়ে যান কনস্টেবল। সূত্রের খবর, সুবীর ঘোষ নিজের কোয়ার্টারে ফিরছিলেন। কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেইসময় ব্যারাকে কর্তব্যরত কনস্টেবলের একে ৪৭ ( AK 47) রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন অক্ষয়। সূত্রের খবর, সহকর্মীকে খুনের পর, আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই জওয়ান। লাউড স্পিকারে অনুরোধ জানিয়ে তাঁকে বাগে আনেন কলকাতা পুলিশের অফিসাররা। ভারতীয় জাদুঘরে গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে কি ছুটি সংক্রান্ত ক্ষোভ? ভারতীয় জাদুঘর সূত্রে পাওয়া তথ্যে তেমনই ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন,‘আদার ব্যবসায়ীর জাহাজের খোঁজ রেখে লাভ কী’! কুণালকে ‘সেন্সর’ করা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদনের
অপরদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আর জাদুঘরে দর্শকের কাছে থাকতে পারবে না সিআইএসএফ। পাশাপাশি ধৃত জওয়ানকে হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও পার্ক সার্কার্সে একই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল। সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চলেছিল। গুলি বর্ষণ করে আত্মঘাতী ঘটনা সেবার ঘটলেও এবার অভিযুক্ত জওয়ানকে আত্মঘাতী হওয়ার আগেও পাকড়াও করা হয়েছে।স্বাভাবিকভাবের একের পর এক ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনেরও। গোটা জাদুঘরে যাবতীয় সিসিটিভি নিয়ে খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা। দর্শকের নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি করে ভাবা হচ্ছে।