সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি কলকাতার বুকে ফের উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। এবার টাকা মেলে ব্যবসায়ী বাড়ির খাটের নিচ থেকেও। কোটি কোটি টাকা। ক্রিপ্টো কারেন্সি। বেআইনি টাকার স্তূর। ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপ চক্রই হয়ে ওঠে শহর কলকাতার টক অফ দ্য টাউন।  শুধু ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নয়, আরও কোটি কোটি টাকার হদিশ পাওয়া যায় যত তদন্ত এগোয়। ২৩ সেপ্টেম্বর, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের দাবি, বিদেশ থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালানো হত প্রতারণা চক্র। গার্ডেনরিচের আমির খান একা নয়, উঠে আসে আরও কয়েকটি নাম। 



আরও পড়ুন: Medinipur Weather: বাতাসে ঠান্ডার আমেজ, দিনভর রোদের দেখা মিলবে দুই মেদিনীপুরে


গত ১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অনলাইন গেমিং অ্যাপস প্রতারণাকাণ্ডে মূল চক্রী আমির খানের নামে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করল ইডি-র বিশেষ আদালত। শুক্রবারই আমিরকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হল। এই মর্মে প্রেসিডেন্সি জেলের জেলারকে নির্দেশ দিয়েছে ইডি-র বিশেষ আদালত। অনলাইন গেমিং অ্যাপস প্রতারণাকাণ্ডে মূল চক্রী আমির খানকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বুধবার আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।


তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে বিদেশেও। আগেই আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, দুবাইয়ে বসে রোবোটিক সিস্টেমের মাধ্যমে চালানো হত সল্টলেকের অফিস। বিদেশে বসেই ভারতীয়দের প্রতারণা করা হত। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাচার হয়ে যেত সেই টাকা।